মানিকগঞ্জে ৪৩ কেজি ৭ গ্রাম স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে মানিকগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন, সাতক্ষীরার কলারোয়ার লোহাকুড়া এলাকার মৃত রুহুল আমিনের ছেলে ইয়াহইয়া আমিন, যশোরের ঝিকারগাছার সংকরপুর এলাকার শেখ মোজাম্মেল হকের ছেলে শেখ আমিনুর রহমান, একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে শেখ জাহিদুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের নাগেরহাট এলাকার আব্দুর রহমান বেপারীর ছেলে মনিরুজ্জামান রনি এবং রাজধানী ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের আহম্মদ উল্লাহর ছেলে জহিরুল ইসলাম তারেক।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর ঢাকা থেকে মহাসড়ক হয়ে চোরাকারবারিরা স্বর্ণ নিয়ে বেনাপোল যাচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের তরা এলাকায় চেকপোস্ট বসায় র্যাব- ২। পরে বেলা ১১টার দিকে বেনাপোলগামী একটি বাসের গতিরোধ করা হয়। এ সময় বাসের যাত্রীদের নামার অনুরোধ করলে পাঁচজন পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব তাদের আটক করে। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে ২২৭টি স্বর্ণের বার (৪৩.৭ কেজি) উদ্ধার করা হয়। জব্দকৃত স্বর্ণের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পরের দিন ৫ অক্টোবর মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা রুজু হয়। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর সদর থানা পুলিশের এসআই মো. হারেস সিকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আজ এই রায় প্রদান করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি মথুর নাথ সরকার ও আসামিপক্ষে ছিলেন মো. নজরুল ইসলাম বাদশা। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবী উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :