বিয়ের পাঁচ দিনের মাথায় পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে নববধূ খাদিজা আক্তার। আর এই ঘটনায় ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী ইবাদ খান (৩০)।
গত মঙ্গলবারের (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডের নববধূর বাবার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার (১৩ মার্চ) বাদ আসর নিজ বাড়ির কবরস্থানে ইবাদ খানকে দাফন করা হয়।
নিহত ইবাদ চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য সুলতানা বেগম ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম খানের ছেলে। তিনি একটি প্রাইভেট হাসপাতালে মার্কেটিংয়ে চাকরি করতেন। অপরদিকে, খাদিজা আক্তার বিআইডব্লিউটিএ’র চাঁদপুর শাখার পরিদর্শক পাইলট দিদারুল আলমের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, গত ৭ মার্চ ইবাদ খানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে খাদিজা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর গত ১১ মার্চ নববধূ খাদিজা আক্তার স্বামীর বাড়িতে আসার কথা থাকলেও সে অসুস্থ দাবি করে পরদিন মঙ্গলবার যাবেন বলে জানান। কিন্তু সোমবার রাতেই খাদিজা তার প্রেমিকের কাছে চলে যান। এ ঘটনার পর ১২ মার্চ শ্বশুরবাড়িতে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ইবাদ ইঁদুর মারা বিষ খান। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ইবাদের মৃত্যু হয়।
চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, ইবাদ শ্বশুরবাড়িতে মারা গেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ইঁদুর মারা বিষ খেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ তার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। তার মৃত্যুর বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, স্ত্রী বিয়ের পাঁচদিনের মাথায় প্রেমিকের সঙ্গে নববধূ চলে যাওয়ার কারণে ইবাদ আত্মহত্যা করেছে এমন অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু ইবাদের পরিবার এখন পর্যন্ত সেই বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে তারা অভিযোগ করবে বলে জানিয়েছে।
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :