পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় দুলাল নামের এক যুবককের টানা ধর্ষণে ৭ম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত মোঃ দুলাল খন্দকার (৩৫) উপজেলার দুমকি গ্রামের ২নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বারেক খন্দকারের ছেলে।রবিবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে আসামী দুলাল খন্দকার র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার ৭ম শ্রেনীতে পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর হঠাৎ করে শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে সে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে জানায় সে ২৯সপ্তাহ ১দিনের অন্তঃসত্ত্বা।
ভূক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের ১৭ তারিখ রাত আটটার দিকে
আসামি দুলাল খন্দকার ওই শিক্ষার্থীকে ফুসলিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে আসামী দুলাল পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে তাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করতে থাকে। সর্বশেষ গত ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের ২৮ তারিখ রাত এগারোটার দিকে আসামী দুলাল পুনরায় ওই শিক্ষার্থীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়।
শিক্ষার্থীর বাবা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, মেয়েটির মা নেই, ওর দাদী আছে সে কানে শোনে না এবং চোখে দেখে না। আমি গাড়ি চালাই, বাড়ির বাহিরে থাকি। এ সুযোগ নিয়ে দুলাল আমার মেয়ের যে ক্ষতি করেছে তার উপযুক্ত বিচার চাই।
পরে শিক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে দুমকী থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৬ তারিখঃ ১৭.০৩.২০২৪ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯ (১) তৎসহ ৫০৬ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
ঘটনাটি র্যাবের নজরে আসলে আসামীকে গ্রেপ্তার করার লক্ষ্যে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অধিনায়ক মেজর সোহেল রানা`র নেতৃত্বে র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল বরগুনা জেলার সদর উপজেলাধীন ফুলঝুঁড়ি এলাকা থেকে আসামী মোঃ দুলাল খন্দকারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। পরে গ্রেফতারকৃত দুলালকে দুমকি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :