জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রূপরেখা বাস্তবায়নে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই কাজ করে চলছেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. খসরু চৌধুরী এমপি। নির্বাচনের সময় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার শতভাগ পূরণে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ঢাকা-১৮ আসনকে স্মার্ট আসন হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজমুক্ত, মাদক বিক্রেতা এবং কিশোর গ্যাংদের প্রতিহত করতে জনসচেতনতা বাড়াতে সভা-সমাবেশ করছেন। স্বল্প সময়ে তিনি তার কার্যক্রমের মাধ্যমে এলাকাবাসীর নজর কেড়েছেন।
নির্বাচনের আগে খসরু চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি নির্বাচিত হলে তার প্রথম কাজ হবে সর্বাধিক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয়-পূর্বক স্বল্পতম সময়ের মধ্যে টেকসই পরিবর্তন নিশ্চিত করা। এ কাজে তিনি সফল হয়েছেন।এমপি নির্বাচিত হয়েই খসরু চৌধুরী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে সমন্বয় করে উন্নয়ন কাজ শুরু করেছেন। গত এক মাসে ঢাকা-১৮ আসনে তিনি নতুন করে প্রায় ২০টি রাস্তার উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। বর্তমান এ আসনের ৭০টিরও অধিক রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ করার জন্য ৩টি রাস্তা পাস করিয়েছেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলে নতুন নতুন আরও কিছু উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করার চেষ্টা করছেন।
বিগত দিনে উত্তরখান ও দক্ষিণ-খান এলাকায় গ্যাস সংকট ছিলে চরমে। খসরু চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরে গ্যাস পাইপ লাইন সংস্কারের মাধ্যমে গ্যাস সমস্যার সমাধান করেছেন। ঢাকা-১৮ আসনকে সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজ-মুক্ত করতে কাজ করছেন তিনি। ইতোমধ্যে তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। ঢাকা-১৮ আসনের বিভিন্ন-স্পটকে চাঁদা-মুক্ত করেছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, যানবাহন থেকে অবৈধ উপায়ে কোন ধরনের চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না। যারা এসব অবৈধ কাজে জড়িত থাকবে, দল-মত-নির্বিশেষে তাদের সকলের বিরুদ্ধেই জিরো টলারেন্স দেখিয়ে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে অবহেলিত ঢাকা-১৮ আসনের উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দ চেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ঢাকা-১৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে মোঃ. খসরু চৌধুরী বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১৮ আসন বিগত বছর গুলোতে ছিলো উন্নয়ন বঞ্চিত। তাই আমি ঢাকা-১৮ আসনের রাস্তাগুলোর দ্রুত উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ চাই। মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ-মুক্ত ঢাকা-১৮ আসন গড়ার প্রত্যয়ে খসরু চৌধুরী এমপি বলেন, ঢাকা-১৮ আসনে সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং ও চাঁদাবাজদের দমনে এবং এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ঢাকা-১৮ আসনের নাগরিকদের কর ও হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করার বিষয়ে খসরু চৌধুরী বলেন, ঢাকা-১৮ আসনের ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২টি ওয়ার্ড ছাড়া (ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১ ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ড) বাকি যে ১২টি ওয়ার্ড ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়েছে সেখানের নাগরিকরা নাগরিক সেবা পাচ্ছেন না। এখানের রাস্তা গুলোতে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা নেই। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই। নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা নেই। খেলার মাঠ নেই। নাগরিক সুবিধা না থাকায় এখানে ব্যবসা বাণিজ্য করার মতো পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি। এখানে নাগরিক সেবা একদম নেই বললেই চলে। তাই আমি আমার এলাকায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ধার্যকৃত সকল কর ও হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করতে অনুরোধ করছি।
মো. খসরু চৌধুরী এমপির এক মাসের কার্যক্রম মূল্যায়ন করতে গিয়ে বৃহত্তর উত্তরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উত্তরখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলন বলেন, বিগত বছর গুলোতে ঢাকা-১৮ আসন ছিলো উন্নয়ন বঞ্চিত। তবে খসরু চৌধুরী ঢাকা-১৮ আসনের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে নিরলস-ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আশাকরি তিনি সফল হবেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু বলেন, এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে খসরু চৌধুরী যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি তা বাস্তবায়ন করতে কাজ করছেন। তিনি ৫ বছর তথা ৬০ মাসের জন্য এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। মাত্র ১ মাস অতিবাহিত হয়েছে সামনে রয়েছে ৫৯ মাস। তিনি আগে এমপি না হয়েও মানুষের জন্য কাজ করেছেন। এখন এমপি হয়ে দিনের পুরোটা সময়ই মানুষের জন্য কাজ করছেন। তিনি যে ইশতেহার দিয়েছেন তা শতভাগ বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :