চুরি করতে এসে জনতার ধাওয়া খেয়ে গুরু দৌড়ে পালালেও ধরা পড়েছেন দুই শিয্য।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুর উপজেলার জগদীশপুর মাঠে। ওই দুই চোর বর্তমানে ঝিনাইদহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্যালোমেশিন চোর জাহাঙ্গীর হোসেন ও সহিদুল ইসলাম বলেন,কালিগঞ্জের সুমনের সঙ্গে আমরা রাজমিস্ত্রীর কাজ করতাম। বৃহস্পতিবার কাজ শেষ করার পর সুমন বলেন,আমার এক ভাই পাওনা টাকা দিচ্ছে না। তাঁর একটা স্যালোমেশিন আছে খুলে আনতে হবে।
পরে মাঠে এসে স্যালো মেশিন খোলার সময় জনতা আমাদের ধাওয়া দেন। এ সময় ওস্তাদ সুমন আমাদের ফেলে রেখে পালিয়ে যান। আর ধরা পড়ি আমরা পাড়া প্রতিবেশি দুই ভাই।
আটকৃতরা হলেন,ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আরাবপুর গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন( ৩০) আব্দুল হাকিমের ছেলে সহিদুল ইসলাম। বর্তমানে তারা ঝিনাইদহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জগদীশপুর গ্রামের সহিদুজ্জামান (সাগর) বলেন,বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জগদীশপুর গ্রামের সুবল হালদারের স্যালোমেশিন খুলছিল চোরেরা। এ স্থানীয় মানুষেরা দেখতে পান।
এরপর তারা চিৎকার দিলে চোরেরা মেশিন ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে ধাওয়া দিয়ে তাদের মধ্যের দুইজনকে ধরে ফেলেন। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান সুমন হোসেন নামের আরো একজন।তারা ধরা পড়ার পর গণধোলাইয়ের শিকার হন।
এতে করে গুরুতর আহত হন ওই দুই চোর। তিনি বলেন, এর আগে ওই গ্রাম থেকে শুকুর আলীর ট্র্যান্সফর্মা ও রমজান আলী ইজিবাইক চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মাসুদ মিয়া বলেন, গতকালের ঘটনা। এটা গতকালের ডিউটি অফিসার বলতে পারবেন। তবে আমার জানামতে মামলা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :