রাজশাহীর তানোরে এক ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রোভাইডারের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সময় মতো ক্লিনিকে উপস্থিত না থাকার কারণে প্রতিনিয়ত ক্লিনিকে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে সেবা গ্রহিতারা। এতে ক্লিনিকের প্রোভাইডার মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ও জেলা প্রশাসকের কাছে এবং তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সেবা গ্রহিতারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের(ইউপি) হরিপুর গ্রামে অবস্থিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপহার কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্বরত প্রোভাইডার মোস্তাফিজুর রহমান নিজের ইচ্ছে মতো ক্লিনিক পরিচালনা করেন। এতে করে সময় মতো ক্লিনিকে উপস্থিত না থাকার কারণে প্রতিদিন শতশত সেবা গ্রহিতারা সেবা না পেয়ে ফেরত যেতে বাধ্য হন। অনেকে সেখানে সেবা না পেয়ে অন্যত্রে গিয়ে সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্লিনিক খোলার সময় সকাল সাড়ে ৯ টা ও বন্ধ করার সময় বিকেল ৩টা পর্যন্ত নিয়ম থাকলেও এই ক্লিনিকের প্রোভাইডার মোস্তাফিজুর রহমান আসনে এবং যান তার ইচ্ছে মতো। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের সরকারি ক্লিনিকে ঢুকে মাস্তানী বা চাঁদাবাজির মামলার হুমকি ধামকি দেয়া হয়। যার ফলে, ক্লিনিক নিয়ে অনিয়ম হলেও কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। যার কারণে দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ক্লিনিকের প্রোভাইডার মোস্তাফিজুর রহমান। শুধু ক্লিনিকে উপস্থিত না তিনি ক্লিনিকের বরাদ্দের ঔষধ রোগীদের মাঝে বিতরণ না করে বাহিরে বিক্রি করে দেয়ারও রয়েছে অহরহ অভিযোগ।
অভিযোগ রয়েছে,ক্লিনিকের প্রোভাইডার মোস্তাফিজুর রহমানের তেমন কোন সম্পদ ছিলো না। অথচ বর্তমানে তিনি অঢেল সম্পদের মালিক বুনে গেছেন। রয়েছে রাজশাহী শহরে ফ্ল্যাট বাড়ি, দুটি দামী মোটরসাইকেল, কিনেছেন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বিঘার মতো কৃষি জমি। যার কোন সঠিক হিসেবে নেই তার কাছে। এতো অল্প সময়ের মধ্যে এতো অর্থবিত্তের মালিক হওয়া নিয়ে রীতিমতো এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য ও বইছে রহস্যের গুঞ্জন। উঠেছে দুদকের তদন্তের দাবি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মোস্তাফিজুর রহমান শুধু কমিউনিটি ক্লিনিকের ঔষধ চুরি করে বিক্রি করে এতো অর্থবিত্ত সম্পদের মালিক বুনে গেছেন। নয়তো এতো অল্প সময়ের মধ্যে কেউ কখনো এতো অর্থ সম্পদের মালিক হতে পারেনা। তার বিষয়ে তদন্ত করলেই সব রহস্য বেরিয়ে আসবে বলেও একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। এবিষয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রোভাইডার মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,সরকারি নিয়মের মধ্যে ক্লিনিক খোলা ও বন্ধ করা হয়। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখনো তিনি অভিযোগ হাতে পাননি, অভিযোগ পেলে গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখা হবে বলে জানান।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :