মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও কৃষি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতিদান দেয়ার মতো যোগ্যতা নতুন প্রজন্মের নেই। মহান রাব্বুল আলামিনের পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে বাংলাদেশের মানুষ নি:শ্বাস নিতে পারছে। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা। আমার সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎ করতে কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় সিংগাইর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ‘ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন শীর্ষক’ আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে আপনারা যুদ্ধ করেছিলেন আজকের বাংলাদেশ আপনাদের সে আশা পূরন করেছে। আমাদের মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের যে সম্মান দিয়েছেন। আমার মনে হয় স্বাধীনতা পরবর্তী কোনো রাষ্ট্র প্রধান মুক্তিযোদ্ধাদের এ সম্মান দেননি। বিগত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে সহযোগিতা করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানান সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু। সেই সাথে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের মাজার জিয়ারতের ঘোষনা দেন তিনি।
সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু’র সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক বেনীমাধব সরকারের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোসাঃ শারমিন আক্তার, ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইঞ্জিঃ তোবারক হোসেন লুডু, সাবেক সিংগাইর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল বাশার ও বলধারা ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাজেদ খান প্রমুখ। এর আগে সংসদ সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃক কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহন করেন।
এদিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সকাল ৭ টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু,উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামীলীগ,থানা পুলিশ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সিংগাইর প্রেসক্লাব, ফায়ার সার্ভিস, ক্রীড়া সংস্থা , পৌরসভা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন , ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাসোসিয়েশন (ফারিয়া), বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি,আধা- সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ভবন সমুহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করা হয়।
একুশে সংবাদ/ই.মো.উ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :