ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারীতে মাইকিং করেও প্রত্যাশানুযায়ী মিলছে না তরমুজের ক্রেতা। হঠাৎ ক্রেতারা তরমুজ বিমুখ হওয়ায় লোকসানের বোঝায় মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে বোয়ালমারীর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে তরমুজ বেচাকেনার এমন চিত্র দেখা গেছে।
বোয়ালমারী চৌরাস্তায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ফল ব্যবসায়ী বলেন, তরমুজের দাম কমতে থাকায় দুই সপ্তাহে তার ২০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এই ফল ব্যবসায়ী বলেন, ৮০ টাকা কেজির তরমুজ এখন ৪০ টাকা বিক্রি করছি। তারপরও ক্রেতার চাহিদা নেই। আগের কেনা তরমুজের লোকসান তুলতে হলে দ্রুত নতুন করে কেনা তরমুজ বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই। আল্লাহ রহম করলে লোকসান পুষিয়ে নেওয়া যাবে বলে আশা করছি।
বোয়ালমারী রেল স্টেশনে আরেক তরমজু বিক্রেতা বলেন, আড়তদাররা দাম কমিয়েছে। তবে এভাবে দাম কমবে ভাবতে পারিনি। এখন সবখানে দাম কমলে আমাদেরকেও তো কম দামেই বিক্রি করতে হবে। এক সপ্তাহ আগে ভালোমানের পরিপক্ব তরমুজ, প্রতি পিচ ৩০০-৪০০ টাকা করে বিক্রি করেছি। এখন দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। তারপরও বিক্রি কম হচ্ছে।
ভ্যানে করে তরমুজ বিক্রেতা মোস্তফা মোল্লা বলেন, আমরা মাইকিং করে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি না করে আনাম একটা নির্দিষ্ট টাকা ধরে বিক্রি করছি।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, এইতো কদিন আগে তরমুজ নিয়ে সিন্ডেকেট করেছেন ব্যবসায়ীরা। মানুষের ওপর জুলুম করেছে। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি তরমুজ কিনবো না। এখন দাম কমছে, তারপরও কিনবো না।
আকাশ নামে এক ক্রেতা বলেন, ভোক্তারা অনেকে তরমুজ কেনা বয়কট করেছে, তাই বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। না কিনলে ব্যবসায়ীরা কার কাছে বিক্রি করবে! এর প্রভাবে মাইকিং করে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
আলি নামে এক ভ্যান চালক বলেন, কয়দিন আগেও ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা হয়েছে। আজ হঠাৎ মাইকিংয়ের মাধ্যমে শুনি কমদামে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। একটু সস্তায় পেয়ে নিজের জন্য ও আমার এক প্রতিবেশীর জন্য একটা তরমুজ কিনলাম।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :