কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে সুর্য মাঝি নামে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ১৩০ মণ ইলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সাগরের একটি পয়েন্টে এসব মাছ ধরা পড়ে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে তিনি এসব মাছ বিক্রির জন্য আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসেন।
সূর্য মাঝি জানান, গত বুধবার ১৭জন জেলেসহ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর আল্লাহর দয়া-১ নামের একটি ট্রলার নিয়ে ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে আলীপুর থেকে বঙ্গোপসাগরে যাত্রা করেন তিনি। পরে একবার জাল টান দেয়ার পরই প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ায় পুরো মাছ ট্রলারে তুলতে না পারে অর্ধেক জাল সাগরে ফেলেই চলে আসেন তারা। এসব ইলিশের বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা বলে জানান তিনি।
হঠাৎ করে সাগরে কেন এত ইলিশ ধরা পড়লো জানতে চাইলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম জানান, এটি ভালো খবর। ধারণা করা হচ্ছে যে, গভীর সাগরের কয়েকটি পয়েন্টে ইলিশের অবাধ বিচরণ শুরু হয়েছে। বেশ কিছুদিন গভীর বা মাঝ সাগরে ইলিশ ধরা না পড়ায় কুয়াকাট সংলগ্ন উপকুলের জেলেরা সাধারণত সাগরকূলবর্তি এলাকাতেই বেশি জাল ফেলেছে। গভীর সাগরে মাছ শিকার থেকে বিরত ছিল। যেকারণে মাঝ সাগর ছিল ফাঁকা। আবার গত দুইমাস ধরে সাগরে অস্বাভাবিক পরিমাণ জেলিফিশ ধরা পড়াতেও জেলেরা গভীর সাগরে না গিয়ে উপকূলবর্তি এলাকায় মাছ শিকারে ব্যস্ত ছিল। ঠিক এই সময়ে ইলিশ অবাধ বিচরণ শুরু করায় এখন গভীর সাগরে বিশেষ করে ২০ থেকে ৩০ ফিট লম্বা জাল ফেলতে পারলেই ইলিশের দেখা মিলছে।
কামরুল ইসলাম জানান, এক জালে ১৩০ মণ ইলিশ পাওয়া খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। মাছগুলোর সাইজ প্রায় কাছাকাছি অর্থাৎ ৮শ’ থেকে ৯শ’ গ্রাম। ওই জেলের জালে শুধুই ইলিশ ধরা পড়েছে। সাগরে ৬৫ দিন সকল প্রকার মাছ শিকার বন্ধ থাকার ফলেই মাছ বেড়েছে।
একুশে সংবাদ/য.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :