সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) বলেছে, ক্ষোভ ও অসন্তোষ থেকে বান্দরবানে থানায় হামলা এবং ব্যাংক ডাকাতি করেছে তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে এমন দাবিই করেছে গোষ্ঠীটি।
সম্প্রতি বান্দরবানের তিন ব্যাংকে হামলা ও এক ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এরপর থানায়ও হামলা চালায় তারা। গোষ্ঠীটির এসব তাণ্ডবে আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে পার্বত্য জেলা বান্দরবান।
ব্যাংক ডাকাতি ও থানায় হামলার কয়েকদিন পর এক বিবৃতিতে নিজেদের কর্মকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গেয়েছে কেএনএফ। বিবৃতিতে সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ তোলা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, সরকার শান্তি চুক্তির সময় দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে `ব্যর্থ` হয়েছে।
কেএনএফেএর বিবৃতি অনুসারে, সরকার শান্তি আলোচনার সময় করা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। অন্যান্য অভিযোগের মধ্যে রয়েছে বন্দিদের মুক্তি না দেয়া, বেসামরিক নাগরিকদের অব্যাহত হয়রানি এবং নিখোঁজ গ্রামবাসীদের উদ্ধারে `ব্যর্থতা`।
কেএনএফ আরও অভিযোগ করেছে, সরকার মানবিক সাহায্য ও ত্রাণ সহায়তার আশ্বাস সত্ত্বেও কুকি চিন সম্প্রদায়ের চাহিদাগুলোকে উপেক্ষা করেছে। তারা আরও দাবি করেছে, সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি, ফলে তাদের মধ্যে হতাশা ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
বিবৃতিতে শান্তি প্রক্রিয়ার তদারকির জন্য গঠিত পিস এস্টাবলিশমেন্ট কমিটিরও সমালোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কমিটির সদস্যদের আন্তরিকতা এবং প্রতিশ্রুতির অভাব রয়েছে। যার ফলে শান্তি প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়েছে।
কেএনএফের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড দেশের জনগণ এবং সেই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিষয়টি বান্দরবানে সংঘাতের মূল কারণগুলোকে মোকাবিলার জন্য সংলাপের তাগিদ তৈরি করেছে।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :