ঈদ-পরবর্তী পাঁচ দিনের সরকারি ছুটিতে পর্যটকদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত হচ্ছে সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারছেন হোটেল-মোটেল থেকে শুরু করে সব শ্রেণির ব্যবসায়ীরা। কুয়াকাটার নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ভাড়া হয়েছে হোটেল-মোটেলের ৫০ শতাংশ কক্ষ। তবে পর্যটনে ভরপুর মৌসুম হওয়ায় এবার থাকছে না তেমন কোনো ছাড়।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় প্রচুর সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। কুয়াকাটার বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোকে বাহারি সাজে সাজানো হচ্ছে। অনেক হোটেলের আসবাবে এসেছে নতুনত্বের ছাপ। অনেক প্রতিষ্ঠান নতুন রঙের ছোঁয়ায় সাজাচ্ছেন তাদের মনের মতো করে। দোকানিরাও দোকান সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দোকানে স্থান পাচ্ছে নানাবিধ নতুন নতুন বাহারি পণ্য। সৈকতের ছাতা-বেঞ্চেও নতুনত্বের ছোঁয়া লক্ষ করা গেছে।
সৈকত মার্কেটের আচার ব্যবসায়ী শিমুল জানান, এবার ঈদ উপলক্ষে নতুন করে তারা দোকান সাজিয়েছেন। বেশিরভাগ পুরনো পণ্য সরিয়ে নতুন পণ্য আনা হয়েছে।
কুয়াকাটার অভিজাত আবাসিক হোটেল ওশানভিউর জিএম আলআমিন খান বলেন, এরই মধ্যে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আসবাবপত্রে নতুনত্ব আনা হয়েছে। এখন অবধি আমাদের প্রতিষ্ঠানের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। এ বছর আগের বছরগুলোর তুলনায় পর্যটকদের সাড়া কম পাচ্ছি। তবে আশা করছি ঈদের পর লম্বা ছুটিতে ভালো সংখ্যক পর্যটক কুয়াকাটায় ঘুরতে আসবেন।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটিকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার পর্যটক কুয়াকাটায় আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কুয়াকাটার সব শ্রেণির ব্যবসায়ীরা তাদের প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছেন।
টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা রয়েছে। সাদা পোশাকে আমাদের সদস্যরা টহলে থাকবেন। আশা করছি আমরা পর্যটকদের শতভাগ নিরাপত্তা দিতে পারব।
একুশে সংবাদ/য.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :