কোনো রকমের ভোগান্তি ছাড়াই পদ্মা সেতু দিয়ে অনেকটা স্বস্তি নিয়েই পারাপার হচ্ছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘর মূখী ঈদ যাত্রীরা। তবে সকালে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে মোটরসাইকেল আরোহীদের পড়তে হয়েছে কিছুটা বিড়ম্বনায়। সকাল ১০টা থেকে হঠাৎ গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে এ বিড়ম্বনা শুরু হয়। এদিকে ভোর বেলায় পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজায় ব্যক্তিগত যানবাহন ও পরিবহনের তীব্র চাপ দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানজটের তীব্রতা অনেকটা কমে যায়।
টোল কালেক্টর মোঃ জাহিদুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানান, সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টায় প্রায় হাজার খানেক মোটরসাইকেল ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে পার হয়েছে। তবে ১০টার পরে থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে মোটরসাইকেলের সংখ্যা কমে গেছে।
তিনি আরও জানান, একটি মোটরসাইকেলে দুইজনের অধিক এবং হেলমেট ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত এ সিদ্ধান্ত সার্বক্ষনিক মেনেে চলা হচ্ছে। সারাদিন যানবাহনের চাপ যেমনই হোক না কেনো সকাল ও বিকালে এর তীব্রতা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে এ বছরে স্বস্তিতে কোন রকমের ভোগান্তি ছারাই যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হতে পারছে।
এ দিকে সড়কে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মহাসড়কের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানান, এবার ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় ৭টি টোল বুথে প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে একটি করে যানবাহনে টোল আদায় করা হচ্ছে ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই ভোগান্তিহীনভাবে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছে যানবাহন চালক ও যাত্রীরা। তবে মোটরসাইকেলের উপচে পড়া ভিড় থাকায় ভোগান্তি এড়াতে আলাদা আলাদা দু’টি লেন তৈরি করে টোল আদায় করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :