এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত দিনাজপুর শহরের গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের দিন সকাল ৯টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দানে একসঙ্গে ছয় লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। সে লক্ষ্য নিয়েই এবারের ঈদুল ফিতরের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এবার এই ময়দানে ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন মৌলানা শামসুল হক কাসেমী।
এর আগে সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় স্থানীয় সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এ তথ্য জানান।
সভায় হুইপ বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে । ঈদগাহ মাঠজুড়ে কঠোর চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সিসিটিভি স্থাপনের পাশাপাশি থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। এবার দূরদূরান্তের মুসুল্লিদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে পার্বতীপুর থেকে সেতাবগঞ্জ পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি ছাড়া ড্রোন ব্যবহার করা যাবে না।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে জানান, ঈদগাহ প্রাঙ্গণে সক্রিয় থাকবেন সাদা পোশাকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এ ছাড়া মাঠের নিরাপত্তার জন্য নির্মিত করা হয়েছে চারটি বড় পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। মেটাল ডিটেক্টর থাকবে ১৭টি প্রবেশ মুখে। পুলিশের ড্রোন দিয়ে সাড়া মাঠ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
মাঠ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদের জামাতকে সুষ্ঠু ও সফল করতে ১৯টি উপ-কমিটি সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :