রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট রাজানগর কাঠ ও জ্বালানি কাঠ ব্যবসায়ি সমবায় সমিতির ত্রুি-বার্ষিক নিবার্চনে পুনরায় সভাপতি পদে সকল সদস্য ও ভোটারদের নিকট দোয়া চেয়েছেন রাজানগর কাঠ ও জ্বালানি কাঠ ব্যবসায়ি সমিতির সাবেক সফল সভাপতি উপজেলা উত্তর গাউসিয়া কমিটি`র সহ-সভাপতি সাদেক নুর চৌধুরী টিপু।
সাদেক নুর চৌধুরী টিপু ইসলামপুর ইউনিয়নের পেয়ার মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ীর মরহুম মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িয়ে সমাজ সেবা মূলক কাজ করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি ইতি পূর্বে রাজানগর কাঠ ও জ্বালানি কাঠ ব্যবসায়ি সমিতির সফলতার সাথে ৩বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজানগর কাঠ ও জ্বালানি কাঠ ব্যবসায়ি সমিতির নিবার্চনে সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাদেক নুর চৌধুরী টিপু বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র মানুষ। আমি নিজের পরিবার পরিজনের হালাল রুজি রোজগারের জন্য ব্যবসা বানিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করি। পাশাপাশি যতটুকু পারি সমাজ, এলাকা ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করেছি। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে মানুষের ভালবাসা পেয়েছি। তেমনি ভাবে রাজানগর কাঠ ও জ্বালানি কাঠ ব্যবসায়ি সমিতির জন্য কাজ করছি। সমিতির সদস্যদের উৎসাহ অনুপ্রেরণায় আমি পুনরায় সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছি। আমি গত ২০২১সালের ২৩জানুয়ারি সমিতির সকল সদস্যদের বিপুল ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আমার ব্যবস্থাপনা কমিটিকে নিয়ে দীর্ঘ তিন বছর দায়িত্ব পালন করেছি। ইতিমধ্যে ২০২৪ সালের ২৪ শে জানুয়ারি আমার সময়ের শেষ প্রান্তে আপনারা জানেন আমি দীর্ঘ ৩ বছর দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় আপ্রাণ চেষ্টা করেছি সমিতির উন্নয়ন সাধন করার জন্য। আমি সততার সাথে সমিতির ১২ জন প্রতিনিধির কে নিয়ে বিচার বিভাগ, উপদেষ্টাসহ সম্মিলিতভাবে সকল পরামর্শের ভিত্তিতে সমিতির দায়িত্ব চলাকালীন অবস্থায় আমি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন থেকে এই সমিতির কেবিএস কনভেনশন হলের কোকারিজ সহ সমস্ত ডেকোরেশনের জিনিসপত্র অপূর্ণ ছিল। আমি প্রথমে দেখলাম বিশাল এ কেবিএস কনভেনশন হল রাঙ্গুনিয়ার উত্তরাঞ্চলে এতবড় একটি ক্লাব আর কোথাও আছে কিনা আমার জানা নেই। আমি দেখলাম এখানে একটি ক্লাবের যা যা দরকার সমস্ত কিছু অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে আছে। সমিতির প্রতিষ্ঠানলগ্ন থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন কমিটি এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি এসে ক্লাবের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে দেখলাম প্রথমে ক্লাবের ২১ টি ডেক ছিল এখানে আরো ২২ টি ডেক আমি সংযোজন করেছি। এখানে যে কোকারেজ ছিল সেগুলো ভেঙ্গেচুরে বাহির থেকে ধার করার মত হয়ে পড়েছে। পুনরায় আমি আরেকটি সাইট এখানে ক্রয় করে সংযোজন করেছি। আমি আসার আগে স্টেইজের অবস্থা খুবই নগণ্য ছিল পরে আমি এটিকে এস.এস.এর মাধ্যমে সৌন্দর্য বর্ধন করেছি। ক্লাব সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল কিন্তু মহিলা পুরুষের আলাদা কোন ব্যবস্থা ছিল না আমি এসে পর্দার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও আমি ক্লাবের টেবিল চেয়ার ক্রয় করে অসম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা র্পূর্ণ করেছি। শুধু তাই নয় ক্লাবের পেছনে ১৫ লক্ষ৫০হাজার টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করে পুনঃনির্মান করে বাসা ভাড়ার আওতায় এনেছি। এখন সমিতির জন্য স্থায়ীভাবে বাসা ভাড়ার ব্যবস্থা হয়ে গেছে। ক্লাবের পেছনে নিরাপত্তার জন্য একটি গেইট করে দিয়েছিলাম। এই ক্লাবের পানি নিষ্কাশনের জায়গাও অসম্পূর্ণ ছিল এগুলো আমি পূর্ণ সংস্কার করে ড্রেনের কাজ সম্পন্ন করেছিলাম। ক্লাবের পেছনের গভীর নলকূপ এটি আমি ব্যবস্থা করেছি শুধু তাই নয় সমিতির নতুন ২৭ জন সদস্য ভর্তি করিয়েছিলাম। ওই ভর্তির টাকা দিয়ে আমি সমিতির জন্য ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যবসা করে লাভ করেছিলাম। আমার জানামতে সমিতির প্রতিষ্ঠারলগ্ন থেকে এই ধরনের আয় আর কেউ করতে সক্ষম হয়নি। ইনশাআল্লাহ এটি আমি আমার ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে সক্ষম হয়েছি। এরপর আলোচনা করে পাঁচ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট এ ক্লাবের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তালার ছাদের কাজ সম্পন্ন করেছি। সমিতির জন্য আমি ইট ক্রয় করে এখনো আমার কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। আমি মনে করি এই কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে এবং ক্লাবের দ্বিতীয় তৃতীয় তলায় বিভিন্ন ব্যাংক বীমা অফিস ভাড়া দেওয়া হলে তাহলে স্থায়ীভাবে সমিতির ইনকাম প্রতিষ্ঠিত হবে। আমি স্বচ্ছতার সাথে এই তিন বছরের হিসাব আপডেট করেছিলাম। প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর সাধারণ সদস্য দিয়ে এই হিসাবের অডিট করা হয়েছিল। অতীতে কোন কমিটি কোন সময় এটি করতে পারে নাই। কারণ কাদের স্বচ্ছতা কতটুকু আমার জানা নেই তবে আমার স্বচ্ছতা আমি মহান আল্লাহ তাআলাকে স্বাক্ষ্যি করে বলতে পারি আমার ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে আমি কোন রকম দুর্নীতির আশ্রয় নিই নাই এবং কাউকে নিতেও দিয় নাই। এমনকি মাসিক মিটিংয়ে চা নাস্তার বিলও সমিতির উপর তুলি নাই। ২৩০ জন বিশিষ্ট এই সমিতির গরিব সদস্যদের পথ বিক্রি করার কোন সুযোগ ছিল না আমি সাধারণ সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী নির্বাচনে যে কমিটি হবে সেই কমিটি সদস্য পথ বিক্রি করলে সমিতি তা ক্রয় করে উপযোগী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। যদি কখনো সমিতির চলমান ইনকাম অস্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায় তখন আমি চিন্তা করলাম ভবিষ্যতে সমিতি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। সেই চিন্তা করে আমি পেছনের বাসাগুলি নির্মাণ করে ভাড়ার আওতায় এনেছি এবং ক্লাবের দোতারা তিন তালার ছাদ নির্মাণ করেছি এগুলো যদি ভাড়ার আওতায় আনা যায় তাহলে ভবিষ্যতে বিশাল একটি ইনকামের পথে এই সমিতি আসবে। যদি এটা করা যায় সমিতির প্রত্যেকটা সদস্য বোনাসের আওতায় আসবে। আমি ভোটারদের জন্য সব তথ্যসহ ছবিযুক্ত ভোটার লিস্ট করেছি। সমিতির প্রতিষ্ঠাতালগ্ন থেকে প্রতিষ্ঠাতাদের লেজারে আমি ছবি অন্তর্ভুক্ত করেছি। যারা সমিতির সদস্যরা বিদায়(মারা গেছে) নিয়েছেন তাদেরও ছবি শ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণে অন্তর্ভুক্ত করেছি।
সবকিছু মিলিয়ে সমিতি একটি সম্ভাবনার মধ্যে রয়েছে। এই অবস্থায় সমিতির যদি দক্ষ ও সত্তার মধ্যে কাজ করার ব্যক্তিকে নির্বাচিত করা না হয় তাহলে আগামী দিনে এই সমিতি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। তাই আমি আশা করব সকল সমিতির সদস্যকে আগামীর ২৭শে এপ্রিল সমিতির নির্বাচনে আমি সাদেকনুর চৌধুরী টিপু সভাপতি প্রার্থী হিসেবে অতীতেও আপনারা আমাকে সভাপতি বানিয়েছেন। আমার অতীতে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে মানুষ মাত্রই ভুল থাকতে পারে। আমি ফেরেশতা নই যে আমার ভুল হবে না তবে আমি চেষ্টা করেছিলাম নির্ভুলতার সাথে কাজ করার জন্য। আমার নির্ভরতের মধ্যে আমি অটল তবুও আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমার তিন বছরের তিন মাস অন্তর অন্তর সমিতির সাধারণ সদস্যদেরকে দিয়ে আমি অডিট করিয়েছিলাম। কারন আমার যদি ভুল থাকে এটি ধরার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ তারা আমার কোন প্রকার ভুল ধরতে পারেনি। তাই আমাকে আগামী দিনে সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয় অবশ্যই আমি এই কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে সমিতির সদস্যদের কে চেষ্টা করব ভবিষ্যতে বোনাসের আওতায় নিয়ে আসার জন্য। এই আশা করে আগামী দিনে আমাকে সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে সদস্যদের দোয়া ও মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে ইনশাআল্লাহ আমি সততার সাথে নিষ্ঠার সাথে অতীতের ন্যায় কাজ করে যাব।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :