নরসিংদীর ঘোড়াশাল পৌর এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর দুটি রেলসেতু ও রেলস্টেশনে ঈদ উল ফিতরের ঈদ আনন্দে হাজারো মানুষের ঢল নামতে দেখা গেছে। ট্রেন দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকলেও তা উপেক্ষা করে উৎসবে মেতে ওঠেছেন এখানে আসা দর্শনার্থীরা।
পলাশ উপজেলাসহ গাজীপুরের কালীগঞ্জ ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো দর্শনার্থী ঈদ উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে ঈদের দিন বিকেল থেকে শনিবার সন্ধা পর্যন্ত সেখানে আড্ডা দিয়েছেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, কবি, লেখক ও রাজনীবিদসহ সব পেশার মানুষ এখানে ছুটে আসে। অনেকেই প্রাণবন্ত সুন্দর মুহুর্তকে ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে সেলফি তুলেছেন।
ঈদ আনন্দে স্টেশনে একটু ঘোড়াঘুরি করতে পলাশ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মাইক্রোবাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে হাজারো মানুষ ছুটে আসে এ বিনোদন কেন্দ্রে। এখানে শিশুদের জন্য ঘোড়াও রাখা হয়েছে। শিশুদের ঘোড়ায় চড়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতেও দেখা গেছে।
এখানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী নাদিম মিয়া জানান, মুক্ত পরিবেশে সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। যদিও এখানে ট্রেন দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে তারপরও একটু সচেতনভাবে অবস্থান নিলে সমস্যা থাকবে না।
আরেক দর্শনার্থী জহিরুল ইসলাম জানান, এখানের পরিবেশে মোটামুটি ভালো। সময় সুযোগ পেলে ঈদ ছাড়াও মাঝে মাঝে এখানে ঘুরতে আসি। তবে এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো চোখে পড়ার মতো।
দর্শনার্থীরা আরো জানান, এই রেলস্টেশনটি এখন আমাদের জন্য বিনোদন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। পলাশ উপজেলায় কোন পার্ক না থাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর উপর ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলস্টেশন ও ২টি ব্রিজকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে আমাদের বেছে নিতে হয়েছে। যদি ঘোড়াশালে ভালমানের একটি পার্ক থাকতো তাহলে অনেক ভাল হতো।
শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ স্টেশনটি বিনোদন কেন্দ্রের মতোই দর্শনার্থীরা ঘুরাঘুরি করতে মেতে ওঠে। শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু ও ঘোড়াশাল রেলওয়ে ব্রিজের উপরে দাঁড়ালেই নিচে দেখা যায় শীতলক্ষ্যা নদী। শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে দু’পাড়ের খেয়া পারাপারে গ্রাম বাংলার নদীর সৌন্দর্য যেন আরও বেশি ফুটে ওঠে। তাই এই দৃশ্য বিনোদনপ্রেমীদের মাঝে অন্য রকম ভালো লাগা যোগ করেছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :