ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে নরসিংদীর পাঁচদোনা ড্রিম হলিডে পার্ক। ঈদের দিন বিকেল থেকে চলছে এই উৎসবের আমেজ। আজ রবিবার ঈদের চতুর্থ দিনেও দশনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।
আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন কেন্দ্র ড্রিম হলিডে পার্কটিতে দেশী-বিদেশি পর্যটকরাও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাতিয়ে রাখছেন। তাই ঈদের আমেজকে ভরিয়ে দিতে ও বিনোদনপ্রেমীদের আরো আকৃষ্ট করতে পার্ককে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। সংযোজন করা হয়েছে নতুন রাইড। রাজধানী ঢাকার অদূরে শহরের কোল ঘেষে নরসিংদীর পাঁচদোনায় অবস্থিত ড্রিম হলিডে পার্কে ঈদকে কেন্দ্র করে কর্তৃপক্ষ নিয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
পার্ক কর্তৃপক্ষ ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে পাঁচদোনার চৈতাবতে গড়ে উঠা দৃষ্টিনন্দন আন্তর্জাতিক মানের এই পার্কটিতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় অব্যাহত রয়েছে। ঈদ ও বৈশাখী উৎসব দুইমিলে টানা ছুটিতে দেশের বিভিন্ন জেলার বিনোদনপ্রেমীরা অনেকেই স্বপরিবারে বেড়াতে এসেছেন এখানে।
শিশু ও নারীসহ সকল বয়সী মানুষ বিভিন্ন রাইডস চড়ে মেতে উঠেছেন আনন্দ উৎসবে। বুলেট ট্রেন, এয়ার বাইসাইকেল, সোয়ান বোট, ওয়াটার বোট, রোলার কোষ্টার, সুইং চেয়ার, স্পিডবোটসহ আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন রাইডস উপভোগের পাশাপাশি সুইমিং পুলেও উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন দর্শনার্থীরা।
ঈদের দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা খুব বেশি না হলেও ঈদের পরদিন ও আজ রবিবার দুপুর থেকেই পার্কজুড়ে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দিন গড়িয়ে বিকাল বেলা এই ভিড় অনেকটা জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছে। ঈদকে ঘিরে বাড়তি আনন্দ পেতে দূর দূরান্ত থেকে এখানে আসা বলে জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা।
এছাড়াও সুয়াং বুট, ক্যাবল কার, সুইং কার, ভূতের বাড়ি, স্কাই ট্রেন এবং ওয়াটার কিংডম সহ রয়েছে ২৫ টি রাইড৷ পার্কে প্রবেশ করতে হলে দর্শনার্থীদের গুনতে হচ্ছে জনপ্রতি ৩২০ টাকা। এছাড়া প্রতিটি রাইডের জন্য টিকিট কাটতে হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত৷ পরিবার পরিজন নিয়ে ইদ আনন্দ উপভোগ করতে পেরে খুশি সকল বয়সী দর্শনার্থীরা। এবছর পার্কে নতুন যুক্ত হয়েছে সুনামি ঢেউ নামে নতুন একটি রাইড। পার্ক কতৃপক্ষ দিচ্ছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস।
ব্রাহ্মনরাড়িয়ার বাঞ্চারামপুর এলাকার আমিনুল ইসলাম জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়তি আনন্দ উপভোগ করতেই ড্রিম হলিডে পার্কে আসা। এখানকার দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে একটা দিন কাটাতে পেরে ভাল লেগেছে। তবে সবগুলো রাইডস চড়তে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়, যা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য কষ্টকর।
কুমিল্লা থেকে আসা মোসতাক আহমেদ বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিনভর খুবই মজা হলো। শিশুরা বিভিন্ন রাইডস চড়ে আনন্দ উপভোগ করেছে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা বদিউল আলম মৃধা বলেন, এখানে আসার জন্য যাতায়াত ব্যবস্থাসহ এখানকার পরিবেশ খুবই ভাল। প্রতি উৎসবেই এখানে আসার চেষ্টা করি।
ড্রিম হলিডে পার্ক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা বলেন, দর্শনার্থীদের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রতি বছরই পার্কটিতে নতুন আকর্ষণ রাখার চেষ্টা করে থাকি। এবারও পার্কটিকে আরও আধুনিকায়ন করাসহ ক্যাজি রিভার সুনামীর আদলে ব্যতিক্রমী নতুন রাডর্স সংযোজন রয়েছে। আশা করি দর্শকরা তাদের চাহিদা মতই ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারছেন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :