মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১১ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২৮৫ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ির হাতিমারা ঝিরি এবং টেকনাফের জীম্বংখালী সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মো. শরিফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকেলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির হাতিমারা ঝিরি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আটজন এবং টেকনাফের জীম্বংখালী সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তিন সদস্য অনুপ্রবেশ করেন। পরে বিজিবি সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারের জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মি (এএ) বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে জীবন বাঁচাতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার হাতিমারাঝিরি সীমান্তপথে বিজিপির আট সদস্য বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ক্যাম্প হেফাজতে রাখা হয়েছে।
বর্তমানে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সর্বমোট ২৮৫ সদস্য সেখানে রয়েছেন এবং বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের খাবার ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার টেকনাফের নাফ নদী পার হয়ে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের ১৩ সদস্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের স্টেশনে আত্মসমর্পণ করেন।
একুশে সংবাদ/ব.ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :