নওগাঁর মান্দায় ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে পিএসডি ব্রিকস নামক একটি ইট ভাটাতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এছাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি ভাটাতে পরিবেশবান্ধব জিগজ্যাগ চিমনি থাকলেও কয়লার পরিবর্তে সেগুলোতেও পুড়ছে কাঠ। অথচ,নিরব প্রশাসন। যেনো দেখার কেউ নেই!
ভাটা মালিকরা বলছেন, কয়লার দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। কয়লা দিয়ে ইট পোড়াতে গিয়ে বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই কাঠ পোড়াতে হচ্ছে। জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করায় ইট পোড়ানোর মৌসুমে ড্রাম চিমনি দিয়ে বের হচ্ছে প্রচুর বিষাক্ত ধোঁয়া। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছে আশপাশের ফসলি জমিসহ ফলদ গাছপালার উৎপাদন।
১৪ নং বিষ্ণপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামে ফকিন্নি (রাণী) নদীর উত্তর তীরবর্তী এলাকায় ফসলি জমি ও বাগানের ধারে নির্মিত পিএসডি ব্রিকস নামক একটি ইট ভাটাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রমিকরা ভ্যানগাড়িতে ভরে কাঠ এনে ভাটার পূর্ব পাশে স্তুপ করে রাখছেন। এরপর সেগুলো সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ভাটার চারপাশে। এভাবে ইট পোড়ানোর জন্য ভাটাটিতে বিভিন্ন প্রজাতির বিপুল পরিমাণ কাঠ মজুত করা হয়েছে। এসময় ভাটামালিকসহ দায়িত্বরত কাউকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলার পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের একাধিক ব্যাক্তি বলেন, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ বাগান ও জনবসতি এলাকায় পিএসডি ব্রিকস নামে ইটভাটাটি স্থাপন করে বেশকিছু থেকে ইট পোড়ানোর কাজ করছেন প্রভাবশালী পিন্টু নামে এক ব্যাক্তি । এটি সনাতন পদ্ধতির ড্রাম চিমনির ভাটা। ইট পোড়ানো বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে ফসলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। ফল আসছে না আম, লিচুসহ অন্যান্য গাছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মিলছে না ।
উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমরা পরিবেশবান্ধব চিমনি ব্যবহারসহ কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানোর কাজ করছি। অন্যদিকে উপজেলার বেশ কয়েকটি ভাটাতে কয়লার পরিবর্তে জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এতে ব্যবসায়িকভাবে আমরাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।’
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, বিষয়টি অবগত নয়। তবে,ড্রাম চিমনির ভাটাসহ কয়লার পরিবর্তে যেসব ভাটাতে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :