পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বইমেলা যেন মানুষের এক সমুদ্র। মেলার প্রতিটি ইঞ্চি কানায় কানায় পূর্ণ। যেদিকে চোখ যায় শুধু মানুষের ভিড়। দুপুরের পর থেকে এই ভিড় ক্রমেই বাড়তে থাকে।
প্রতিটি স্টলের সামনে মানুষের বেশ জটলা লেগে ছিল। পুরো মেলা প্রাঙ্গণ যেন এক জনসমুদ্রে রূপ নেয়। পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন মেলায় আগত দর্শনার্থীরা।
গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এমনই ছিল ভাঙ্গুড়া উপজেলার ৩১তম বইমেলা প্রাঙ্গণে। প্রবেশ ফটকে দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে ঢুকতে হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে। তারপরও বইপ্রেমীদের চোখেমুখে ছিল না ক্লান্তির ছাপ।
বইমেলার ষষ্ঠ দিনে পাঠক-দর্শনার্থীদের ভিড়ে খুশি প্রকাশকরাও। আশানরূপ বিক্রি হওয়ায় বিক্রেতারা দারুণ উচ্ছ্বসিত।
তারা বলছেন, এটাই মেলার চিরচেনা রূপ। লোকে লোকারণ্য এই মেলায় বিক্রয় প্রতিনিধিরাও দম ফেলার ফুরসত পায়নি। প্রতিবেদক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে ক্রেতাদের চাপে সেই সুযোগও হচ্ছিল না তাদের। তবে ভালো বিক্রি হওয়ায় চোখেমুখে তাদের আনন্দের ছাপ দেখা গেছে।
জানা গেছে, ১৯৮৬ সালে ভাঙ্গুড়া সচেতন সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়। সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়ানো ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনই যার মূল উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই বিগত ৩০ বছর যাবৎ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎবের আয়োজন করে আসছে। সাত দিনব্যাপী এই বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের পর্দা নামছে আজ শনিবার।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :