গাজীপুরের শ্রীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে রান্নার কাজে নিয়োজিত নারী কর্মী আজিদা বেগমের (৪০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে তার স্বামীকে নিয়ে ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী পলাতক রয়েছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) সকালে শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের বাবুল খানের ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আজিদা বেগম নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার হাইলাটি গ্রামের রুমালী হোসেনের মেয়ে। সে উপজেলার জৈনা বাজারে স্থানীয় দুলাল কুমার ঘোষের পাবনা হোটেলের রান্নার কাজ করতেন।
জৈনা বাজারের পাবনা হোটেলের মালিক দুলাল কুমার ঘোষ বলেন, প্রায় ৬ মাস যাবৎ আজিদা বেগম আমার হোটেলে কাজ করতেন। তিনি রান্না ও থালা-বাসন ধোয়ার কাজে সহযোগীতা করতেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, প্রায় ৯ মাস পূর্বে আজিদা বেগম তার স্বামীকে নিয়ে নগরহাওলা গ্রামের বাবুল খানের টিনশেড রুমের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। তার স্বামী স্থায়ীভাবে বসবাস না করলেও নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন। স্ত্রীর পরিচয় পাওয়া গেলেও স্বামীর পরিচয় কেউ জানাতে পারেনি। তাঁর স্বামীর ব্যাপারে জানতে চাইলে সে বাড়ীর মালিককে বলতো সে মাওনা চৌরাস্তায় কাজ করতেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে বাহির থেকে ঘর তালাবদ্ধ থাকায় কেউ খোঁজখবর নেয়নি। দুর্গন্ধ ও মশা-মাছি ছড়িয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করলে মেঝেতে ওই নারীর গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ টিনশেড ঘর থেকে ওই নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। লাশের পাশে রক্তাক্ত ধারালো বঁটি ও দা পড়েছিল।
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার কোনো এক সময় ধারালো বঁটি দা দিয়ে ওই নারীর স্বামী তাকে গলা কেটে ঘর বাহির থেকে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। স্বামীর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে তার স্বামঅই তাকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :