বৈশাখ আসতে না আসতে শুরু হয়েছে বিভিন্ন হাওরে বোরো ধান কাটা। গত কয়েকদিন ধরে পুরোদমে চলছে হবিগঞ্জের হাওরের ধান কাটা।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, ‘ধানের ভাণ্ডার’ খ্যাত হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলায় সোমবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত ৭ হাজার ৫৩৩ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী জেলায় এবার ১ লাখ ২২ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল; চাষ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৩৭ হেক্টর।
ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার ৬৬৫ টন। এ বছর ধানের দাম প্রতি কেজি ত্রিশ টাকার বেশি হতে পারে। সে হিসাবে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ধান গোলায় ওঠার সম্ভাবনা আছে।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হিলালপুর গ্রামের এক কৃষক জানান, দুইদিন আগে তিনি তার জমিতে ধান কাটা শুরু করেছেন। মোটামুটি ভালো ফলন হয়েছে। সামনের দিনে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বোরোতে লোকসান গুণতে হবে না। তবে ধান বিক্রির সময় যেন ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হয় সেদিকে নজর রাখার জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লাখাই উপজেলার বুল্লা ইউনিয়ন ও লাখাই ইউনিয়নের হাওরে দল বেঁধে ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এছাড়া কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারসহ বিভিন্ন ধান কাটার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটা হচ্ছে।
কৃষকরা জানান, আগাম ও হাইব্রিড জাতের ধান কাটা অনেকটা শেষের পথে। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে পুরোদমে হাওর ও নন হাওরে ধান কাটা শুরু হয়ে যাবে। তারা আরো জানান, মেশিন দিয়ে ধান কাটার ফলে একদিকে যেমন শ্রমিক সংকট লাঘব হয়েছে; অন্যদিকে অল্প সময়ের ব্যবধানে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক বনি আমিন বলেন, এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। ধারণা করা হচ্ছে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। কৃষি বিভাগ সবসময় জেলার কৃষকদের পাশে থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
একুশে সংবাদ/নি.ট./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :