AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

তীব্র দাবদাহে অস্বস্তিতে সাফারি পার্কের প্রাণীরাও


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার
০৬:৫৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
তীব্র দাবদাহে অস্বস্তিতে সাফারি পার্কের প্রাণীরাও

দেশজুড়ে চলছে দাবদাহ। তীব্র তাপদাহে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে মানুষের পাশাপাশি প্রাণীকুলেও হাঁসফাঁস অবস্থা। অস্বস্তিতে আছে সাফারি পার্কে থাকা প্রাণীগুলোও।

এ থেকে পরিত্রাণে জলচর প্রাণীগুলোর আবাসে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা এবং স্থলচর প্রাণীগুলোকে সকাল-সন্ধ্যা দুবার গোসল করানো হচ্ছে বলে জানান পার্কের ইনচার্জ (রেঞ্জার) মাজহারুল ইসলাম।

চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড গরমে মানুষের পাশাপাশি প্রাণীগুলোও অস্বস্তিতে আছে। এ অবস্থায় জলচর প্রাণীরা প্রাকৃতিকভাবে গোসল করতে পানির পরিমাণ নিয়মিত বাড়ানো হচ্ছে। আর স্থলচর প্রাণীগুলোকে নিয়মিত দুবার গোসল করানো হচ্ছে।

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে কুমির, কচ্ছপ, অজগরসহ ৬৩টি সরীসৃপ প্রজাতি, বাঘ, সিংহ, বানর, গয়াল, জলহস্তি, উইল্ডবিস্ট, হাতি, হরিণ, হনুমানসহ ১১৮টি স্তন্যপায়ী, ইমু, উটপাখি, গ্রিফন শকুন, রাজহাস, টিয়া, বনমোরগ, রাজধনেশসহ ২১৭টি পাখিসহ প্রাণী রয়েছে ৩৯৮টি। ৯০০ হেক্টর জমি নিয়ে বেষ্টিত পার্কের মধ্যে বায়োডাইভারসিটি এলাকা রয়েছে প্রায় ২০০ হেক্টর। এ অংশটি গাছে আচ্ছাদিত। বাকি অংশগুলোও মাদার ট্রিসহ নানা পাহাড়ি গাছ-গাছালিতে পূর্ণ। ফলে এখানে গরম অনুভূত কম। তারপরও খাঁচাবন্দি প্রাণীকূলকে স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানান ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম।

পার্কের প্রবেশ টিকিট ইজারাদার ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, বৈশাখের খরতাপ প্রবাহিত হলেও প্রতিদিনই পার্কে দর্শনার্থী আসছেন। গড়ে হাজার দেড়েক প্রকৃতিপ্রেমী পার্কে ঢোকেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়েও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে মানুষের পাশাপাশি জীবজগতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, একদিকে জলবায়ুর পরিবর্তন, অন্যদিকে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন। এসব ঘটনা প্রকৃতিকে উত্তপ্ত করছে। আবহাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় বাড়ির আঙিনা, রাস্তার পাশসহ উপযুক্ত জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমাণে গাছ লাগানো।

একুশে সংবাদ/জা.নি./ এসএডি
 

Link copied!