নতুন দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে নিয়ে জেলার বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলাবাসীর মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। নতুন প্রার্থীদের জয়জয়কারে চরম বেকায়দায় পরেছেন প্রতিদ্বন্ধিতা করা হেভিওয়েটের প্রার্থীরা।
নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে পরিবর্তনের পক্ষে সাধারণ ভোটাররা ওই তিন প্রার্থীর পক্ষে কোমর বেঁধে মাঠে নামতে শুরু করেছেন। প্রার্থীরাও দীর্ঘদিন থেকে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। গণসংযোগে নেমে তারা উন্নয়নবঞ্চিত উপজেলাবাসীর তীব্র ক্ষোভের কথাশুনলেও ভোটারদের দিচ্ছেন না কোন প্রতিশ্রুতি। তিন প্রার্থীই প্রায় একই কথা বলেছেন, অতীতের জনপ্রতিনিধিদের ন্যায় মুখে কথার ফুলঝুড়ি ছড়াতে চাইনা।
নির্বাচিত হতে পারলে ভাগ্যবঞ্চিতদের ভাগোন্নয়নে সবকিছু কাজে প্রমান করে দিবো। আর দুইবছরের মধ্যে ভাগোন্নয়নে ব্যর্থ হলে পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবো। আলোচিত ওই তিন প্রার্থী হলেন-মুলাদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জহির উদ্দীন খসরু। ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে উপজেলাজুড়ে ব্যাপক পরিচিত জহির উদ্দীন খসরুর পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি এবার প্রকাশ্যে গণসংযোগে মাঠে নেমেছেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
অপর দুই প্রার্থী হলেন-বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদে জনতার চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে আলোড়ন সৃষ্টি করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক মেধাবী ছাত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ আদনান আলম খান বাবু এবং বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও অসহায়দের আশার আলো সেই আলোচিত নারী নেত্রী মৌরিন আক্তার আশা।
জানা গেছে, বরিশাল-৩ (মুলাদী ও বাবুগঞ্জ) সংসদীয় আসনটি দীর্ঘদিন থেকে জাতীয় পার্টির দখলে। স্থানীয় নির্বাচনে জাপা এককভাবে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও প্রার্থীদের বিজয়ী হতে জাপার সমর্থন মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এ দুই উপজেলায় জাতীয় পার্টির বৃহত অংশের কর্মী-সমর্থকরা ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে উল্লেখিত আলোচিত তিন প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে মাঠে নেমেছেন।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে জেলার হিজলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন আপন দুই ভাই। এনিয়ে পুরো উপজেলাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে হিজলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটানিং অফিসার। গত ২৩ এপ্রিল দুপুরে যাচাই-বাছাইতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রাথমিকভাবে বৈধ ঘোষণা করা পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে দুইজনই হলেন আপন দুইভাই। তারা হচ্ছেন-সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ টিপু সিকদার ও তার ছোট ভাই আলতাফ মাহমুদ দিপু সিকদার। অপর তিন প্রার্থী হলেন- নজরুল ইসলাম রাজু ঢালী, দেলোয়ার হোসেন ও হাফিজুর রহমান। জেলার আরো একটি উপজেলায় আপন দুইভাই প্রার্থী হচ্ছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :