টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় খাদ্যবান্ধ কর্মসূচির আওতায় সরকারি ১৫ টাকা দরের ৩০ কেজি চালের ৮টি বস্তা কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশে বস্তা পরিবর্তন করে অটো দিয়ে পাচার করার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে ধনবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকগণ।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গতকাল সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির প্রস্তুতি চলছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে ধনবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সাহ পরান রনি ও শহিদুল ইসলাম বিকাল ৩ ঘটিকায় জিগাতলা মোড়ে অবস্থান করেন। সরকারি চালের বস্তা বোঝাই অটো জিগাতলা মোড়ে আসতেই সাংবাদিক সাহ পরান রনি হাত দিয়ে অটো থামার জন্য সিগনাল দিলে অটো না থামিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সাংবাদিক সাহ পরান রনি অটোর সাথে দৌড়িয়ে সাধারণ জনগণেের সাহায্যে সরকারি চালের বস্তা বোঝাই অটো ধরতে সক্ষম হন । পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অটোসহ ৮ বস্তা সরকারি চাল নিয়ে আসা হয়।
ঘটনার সত্যতা পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ ফাতেহা তাকমিলা সরকারি চাল পাচার ,মজুদ,বিক্রি করার কারণে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৫০০০ টাকা অর্থদন্ড করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল্লাহ ইবনে হুসাইন, খাদ্য পরিদর্শক মোঃ মাহমুদুল হাসান, ধনবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাহ পরান রনিসহ ধনবাড়ী থানার চৌকস পুলিশ টিম।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিব ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ ফাতেহা তাকমিলা বলেন, আমরা এই সরকারি চাল পাচারকারিদের দীর্ঘদিন যাবত ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু তারা ধরাছোঁয়ার বাহিরে ছিল। আজ সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকায় তাদের হাতে নাতে ধরতে সক্ষম হয়েছি। তিনি ধনবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান।
সরকারি চাল বেচাকেনা ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে এই অভিযান। পরিশেষে এই ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করে দিয়ে , চাল ব্যবসায়ীদের নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করার আহ্বান জানান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সব সরকারি চাল দীর্ঘদিন ধরে কেনা বেচা হচ্ছে । স্থানীয়রা নিয়মিত এই চাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার দাবি জানান।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :