AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কয়রায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন


Ekushey Sangbad
ইকবাল হোসাইন, কয়রা, খুলনা
০২:৪৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪
কয়রায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন

খুলনার কয়রায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে আনন্দের সাথে কৃষকের চলছে ধান কাটার ধুম। এবার লক্ষ্যমাত্রাতিরিক্ত বোরো ধান উৎপাদনে বেশ খুশি কৃষকেরা।
দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় কয়রা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে কয়রার ৭টি ইউনিয়নে ৫,৭২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। কৃষকেরা বলছেন, অনেকের কাছ থেকে ধার-দেনা করে বোরা ধান চাষ করেছি। এ বছর বেশি দামে সার-ডিজেল কিনেছি। সেচ ও ধান চাষে এবার অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়েছে। তবুও ধান চাষ করে লাভবান হবে চাষিরা, এমনটাই দাবি করছেন কৃষকেরা।

সরেজমিনে ৭টি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সোনালি ধানে দুলছে ফসলের মাঠ। অনেকে ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু করেছে। আবার অনেকেই ধান কাটা শেষে মাড়াই করছে। যাদের জমির ধান এখনো কাটেনি, তাদের প্রতিটি গাছের থোকায় থোকায় ঝুলছে ধান। আশানুরূপ ফলন পেয়েছে কৃষকেরা। তবে উপজেলার অনেক এলাকায় পানির অভাবে রোপা বোরো ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা আগামীতে পানির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।

মহারাজপুর ইউনিয়নে এবার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরা ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড রুপালি-৭, ব্রিধান-৬৭ ও বিনা-১০ চাষ করে কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছে।

মহারাজপুর গ্রামের কিষানি নাসরীন খাতুন বলেন, এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে সারের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ডিজেলসহ অন্য সামগ্রীর দাম বেশি। এমনকি ধান রোপণ থেকে কাটা পর্যন্ত শ্রমিকদের মজুরিও বেশি দেওয়া লাগছে। ধান কাটতে শ্রমিক প্রতি ৬০০-৭০০ টাকা মজুরি দিতে হয়। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে বেশি টাকা দিয়েও মুজরি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ধান চাষ করতে যে টাকা খরচ হয়, অসহনীয় গরমে তা ঘরে ওঠানো মুসকিল হয়ে পড়েছে। আমার বিঘা প্রতি ৩০ মণ ধান উৎপাদন হয়েছে।

কৃষক আনিছুর রহমান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে বৃষ্টি কম হওয়ায় সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে পানি দিতে হয়েছে। চারা রোপণে খরচ বেশি হয়েছে। শ্রমিকদের বেশি মজুরিও অনেক। সাথে সারও কিনতে হয়েছে বেশি দামে। তবুও এ বছর ১ বিঘা জমিতে ২৫ মণ ধান উৎপাদন করতে পেরেছে।

উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. ফারুক হোসেন বলেন, বোরো ধান চাষাবাদে কৃষি অফিসের পক্ষ হতে কৃষকদের পাশে গিয়ে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বছর কয়রার ধান ভালো হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বছর কয়রার ৭টি ইউনিয়নে ৫,৭২৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। অধিকাংশ কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। বাম্পার ফলনে কৃষক খুশি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চাষ বেড়ে যাওয়ায় ফলন বেশি হয়েছে। আশা করি, আবহাওয়া ও বাজারদর অনুকূলে থাকলে কৃষকরা এবার লাভবান হবেন।

একুশে সংবাদ/এসএডি
 

Link copied!