AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ

রাজীবপুরে ছাগলে পাট খাওয়া নিয়ে যুবক খুন


রাজীবপুরে ছাগলে পাট খাওয়া নিয়ে যুবক খুন

ছাগলে পাট খাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজীবপুর উপজেলায় হামিদুল ইসলাম (রাশিদুল) ৩৫ নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের টাঙ্গালিয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রাশিদুলের খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে রাজীবপুর উপজেলা শহরে রোববার ২৮ এপ্রিল দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে তার স্বজন এলাকাবাসী ও বন্ধুরা। মিছিল থেকে তার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। এসময় নিজ স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে রাশিদুলের স্ত্রী চায়না খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী আর কয়েক দিন পর বিদেশ যাইতো ওরা আমার স্বামীরে মাইরা ফালাইলো। আমি এহন শিশু সন্তান নিয়া কিভাবে বাঁচুম। আমি এর সুষ্ঠু বিচাই চাই।’

রাজীবপুরে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

হত্যাকান্ডের ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার মধ্যেরাতে রাজীবপুর থানায় নাসির উদ্দিন (৩৫), শাহ আলম (৩৫), নাছিমা (৪৫), চান মিয়া (৫৫), সানজিদা (২৫), মৌসুমি (২৫) নাম উল্লেখ করে একটি হত্যামামলার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ঘটনয় জড়িত ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে রাজীবপুর থানা পুলিশ। আসামিরা হলেন নাসির উদ্দিন (৩৫), সানজিদা (২৫) ও মৌসুমি (২৫)।

থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগ, স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রফিকুল ইসলামের সাথে প্রতিবেশি নাসির উদ্দিনের জমি নিয়ে বিরোধ। শনিবার সকালে রফিকুলের একটি ছাগল নাসির উদ্দিনের পাট ক্ষেতে গিয়ে কিছু গাছ খেয়ে ফেলে। বিষয়টি নিয়ে দু‍‍`পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়।এসময়ে রফিকুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয় নাসির উদ্দিন।

বিকেলে রফিকুল ইসলাম ও তার পুত্র হামিদুল ইসলাম (রাশিদুল) উপজেলা শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব টাঙ্গালিয়া পাড়া গ্রামে পৌঁছলে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা নাসির উদ্দিন ও তার সহযোগী এবং ভাতিজা রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহ আলমের নির্দেশে হামলা চালন। শাহ আলম দাড়িয়ে থেকে হামলার নেতৃত্ব দেন। নাসির উদ্দিন ছুরি দিয়ে আঘাত করেন  হামিদুলকে এবং তার পিতাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এসময় চান মিয়া, সানজিদা ও আকলিমা বেগম হামিদুল কে চেপে ধরে রাখে এবং মৌসুমী বেগম দা দিয়ে কোপ দেয়। স্থানীয়রা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও হাতে ধারালো অস্ত্র থাকায় তাদের নিবৃত্ত করতে পারেনি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন ইউপি সদস্য শাহ আলম দাঁড়িয়ে থেকে পুরো ঘটনার নেতৃত্ব দেন এবং ঘটনার শেষ সময় পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ছিলেন।

মারপিট করে গুরুতর আহত অবস্থায় হামিদুলকে ফেলে রেখে চলে যাওয়ার পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হামিদুলকে মৃত ঘোষণা করে।    

রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক জনপ্রতিনিধিরা হচ্ছে জনগণের সেবক। ইউপি সদস্য যদি হত্যকাণ্ডের নেতৃত্ব দেয় তাহলে বিষয়টি লজ্জাজনক। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

রাজীবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আশিকুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/এসএডি
 

Link copied!