মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে মাদ্রাসা ছাত্র মো. নাঈমের (১০) ভাসমান মৃতদেহ পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার করেছেন ফরিদপুর নৌ পুলিশ। নাঈম সিংগাইর উপজেলার খাসেরচর গ্রামের মৃত এলাহির ছেলে। সে আন্ধারমানিক ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মক্তব বিভাগের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল। নিহতের পরিবারের দাবি, নাঈমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার আন্ধারমানিক ট্রলার ঘাট এলাকা থেকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ছাত্রের খোঁজে থানা পুলিশ বা পরিবারকে জানায়নি বলে মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে রহস্য। নাঈমের নিখোঁজের বিষয় থানায় কোনো ডায়েরি বা নাঈমের পারিবারকে জানানো হয়নি বলে নানী ও মামার দাবি। যে কারণে তার মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে ধুম্রজাল।
নাঈমের মামা আল আমিন জানান, তিনদিন আগে নাঈমকে মাদ্রাসায় রেখে গেছেন। মাদ্রাসা শিক্ষকরা নাঈমের নিখোঁজের বিষয়টি তাদের পরিবারকে জানায়নি। তার এক আত্মীয়ের ছেলে একই মাদ্রাসা ছাত্রের মাধ্যমে আজ সকাল ১০ টার দিকে জানতে পেরে ট্রলার ঘাটে এসে নাঈমের লাশ সনাক্ত করি।
মাদ্রাসা শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, নাঈম নিখোঁজ হওয়ার কয়েকজন ছাত্র জানিয়েছে, জনৈক ছাত্রকে এসে তার নানী নিয়ে গেছে। তারা ভাবছে নাঈমকে নিয়ে গেছে। পরে জানতে পারেন, অন্য ছাত্রকে নিয়ে গেছে। ওই শিক্ষকের দাবি, নাঈম পদ্মায় গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরিবার বা থানায় না জানানো প্রসঙ্গে বলেন, এটা তাদের ভুল হয়েছে।
এ বিষয়ে নাঈমের চাচা মোঃ ফরিদুর রহমান বলেন, আমার ভাতিজার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও ঘার ভাঙ্গা পরিলক্ষিত হয়েছে। আমার ভাতিজাকে কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি এর হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
হরিরামপুর থানা ওসি শাহ নুর এ আলম জানান, মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজের বিষয়ে মাদ্রাসা থেকে লিখিত বা মৌখিক ভাবে জানানো হয়নি। পরে লাশের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে মামলার বিষয় প্রক্রিয়াধীন। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফরিদপুর নৌথানা ইনচার্জ মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী জানান, খবর পেয়ে হরিরামপুর উপজেলার আন্দারমানিক ট্রলার ঘাট থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :