AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

‘বিভক্ত’ কালীগঞ্জ আ’লীগের নেতা কর্মীরা, সংঙ্ঘাতের শঙ্কা


‘বিভক্ত’ কালীগঞ্জ আ’লীগের নেতা কর্মীরা, সংঙ্ঘাতের শঙ্কা

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়ে পরেছে আওয়ামীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। দলীয় প্রতীক না থাকায় স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে দলটির একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। তাদের অনুসরণ করতে গিয়ে নেতা কর্মীরাও বিভক্ত হয়ে পরেছেন। ফলে স্থানীয় আ’লীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঙ্ঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্ককা রয়েছে।


এ নির্বাচনে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থী না থাকায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভোট নিয়ে তেমন কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। উঠান বৈঠক, কর্মিসভা, মিছিল-মিটিংয়ের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোটের জানান দিচ্ছেন কর্মী সমর্থকরা। তবে নেতা কর্মীরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন দুই সাংসদের নেক নজরের প্রার্থীদের দিকে।


প্রথম ধাপের নির্বাচনে মোট ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছে। চেয়ারম্যান পদে জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.আশরাফী মেহেদী হাসান (দোয়াত কলম), উপজেলা আ’লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান হাবিব (আনারস) ও উপজেলা আ’লীগের সদস্য আমজাদ হোসেন স্বপন (মোটর সাইকেল) প্রতীকে লড়ছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ সাদ্দাম হোসাইন রুবেল পালোয়ান (উড়োজাহাজ), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো.ফারুক ভূঁইয়া (চশমা), উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান (মাইক), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোজাম্মেল হক (টিয়া পাখি), উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহঃ সভাপতি আবু জাফর মুহাম্মদ শামসুল হুদা রিপন (তালা), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি জুয়েনা আহমেদ (হাঁস), জেলা
আ’লীগের সদস্য শর্মিলা রোজারিও (ফুটবল) এবং জেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক শর্মীলি দাস মিলি (কলস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।


গত সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৫ আসনে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রতিদ্বন্ধীতার কারনে দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে সৃষ্ট দ্বন্ধ এখনো নিরসন হয়নি। সংসদ নির্বাচনে উপজেলা আ’লীগের অধিকাংশ দলীয় নেতা কর্মীরা মূলত বর্তমান সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ মেহের আফরোজ চুমকি এবং বর্তমান স্বতন্ত্র সাংসদ আখতারউজ্জামানের পক্ষে নির্বাচনী কাজ করেছেন। এ নিয়ে দুই সাংসদের অনুসারীদের মাঝে গত চার মাসে প্রায় অর্ধশতাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসমস্ত ঘটনায় উভয়পক্ষের প্রায় সাড়ে তিনশত নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এসকল হামলা-মামলার ঘটনায় উপজেলা আ’লীগের অভ্যন্তরীন কোন্দল এখন চরমে।


সংসদ নির্বাচনে আশরাফী মেহেদী হাসান স্বতন্ত্র সাংসদ আখতারউজ্জামানের পক্ষে নির্বাচনী সভা সমাবেশ করেছেন। হাবিবুর রহমান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকি’র পক্ষে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা চালিয়েছেন। অপর প্রার্থী আমজাদ হোসেন স্বপন গত সংসদ নির্বাচনে নিজে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জামানত হারালেও এবার তিনি আ’লীগের একাংশের সমর্থন নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।


গত ২৭ এপ্রিল মোক্তারপুরের একুতা গ্রামে চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফী মেহেদী হাসানের কর্মী সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে অপর প্রার্থী আমজাদ হোসেন স্বপনের সমর্থকরা হামলা চালায়। এতে আশরাফী মেহেদীর দুই সমর্থক আহত হয়।


একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!