পঞ্চগড়ের বোদায় মহান মে দিবস নানান কর্মসুচীর মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে। দিবসের শুরুতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে মহান মে দিবসের কাযক্রম শুরু হয়। জাতীয় শ্রমিকলীগ বোদা উপজেলা শাখা, উপজেলা অটোবাইক মালিক সমবায় সমিতি, উপজেলা কার ও মাইক্রোবাস চালক সমিতি ও উপজেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন, লেবার ও কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন এর যৌথ উদ্যোগ একটি বনাঢ়্য র্যালী উপজেলা সদরে বিভিন্ন
রাস্তা প্রদক্ষিণ করে বোদা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে শেষ হয়। উপজেলা অটোবাইক মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ এর সঞ্চালনায় মে দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড ওয়াহিদুজ্জামান সুজা।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদ পঞ্চগড় জেলা কমিটির সভাপতি এমরান আল আমিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ প্রাথী রবিউল আলম সাবুল, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেদ প্রধান, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আইনজীবি এ্যাডঃ হাবিব আল আমিন ফেরদৌস, ভাইস-চেয়ারম্যান প্রাথী জীতেন্দ্রনাথ রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রাথী জেবুন নেহার মুক্তা ও লাইলী বেগম ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ বোদা উপজেলাবাসী, বাড়ছে নানা রোগ বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলাবাসী তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। একটু প্রশান্তির আশায় মানুষ গাচের ছায়া কিংবা ছুটছে শীতল
কোনো স্থানে। গরমের কারণে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব। হাসপাতালে বাড়ছে নানা রোগীর সংখ্যা। গত কয়েকদিন ধরে আকাশের আদ্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েই চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ভ্যাপসা গরমের কারণে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই যেন আগুন ঝড়াতে থাকে সূর্য। রাত দিনের তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তন না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ ও ভ্যাপসা গরমে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়- জ্বর, ঠান্ডা, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে অন্য সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ রোগী আসছে চিকিৎসার জন্য। কৃষি শ্রমিকরা প্রচন্ড তাপদাহে মাঠে কাজ করতে পারছেনা। তীব্র তাপদাহের কারণে অনেক কৃষি শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।
তাছাড়া প্রচন্ড তাপদাহের কারণে কৃষকের ক্ষেত পুড়ে যাচ্ছে। কৃষকের বিভিন ফসলেন ফলন বিপজয় দেখা দিয়েছে । এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ লূৎফর কবির বলেন, প্রচন্ড তাপপ্রবাহে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ায় ভালো। তবে তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে ছায়াযুক্ত স্থান থাকার পাশাপাশি বেশি বেশি পানি, স্যালাইন ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াসহ রঙিন কাপড় পরিহার করে ঢিলেঢালা জামা কাপড় পরাই ভালো। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সোবাহান বলেন, এই তাপপ্রবাহে গরু-ছাগল ছায়াযুক্ত স্থানে রাখা ভালো সেই সাথে তিনি ভিটামিন জাতীয় খাদ্য খাওয়ানো পরামর্শ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আহম্মেদ রাশেদ উন নবী কৃষকদের বিভিন্ন ফসলের ক্ষেতে পানি দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :