টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধে রাজিব হোসেন (৩০) নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত সাতজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের ভাদ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রাজিব হোসেন উপজেলার ভাদ্রা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার ছেলে এবং ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি।
নাগরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন জানান, ভাদ্রা গ্রামের আজাহার ও রাজিবের মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি বেল গাছ থেকে বেল পাড়া নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
পরে আজাহার ও তার পরিবারের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজিবকে কোপাতে থাকে। এসময় পরিবারের লোকজন বাঁধা দিতে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করা হয়। আহতদের মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক রাজিবকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, ঘটনার তদন্ত অব্যাহত আছে। হত্যায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
একুশে সংবাদ/ঢা.পো/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :