দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে পদ্মা-মেঘনায় ধরা পড়ছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। এতে হতাশ জেলেরা। ইলিশ সরবরাহ কম থাকায় চাঁদপুর বড়স্টেশন ঘাটে এখনো জমে উঠেনি কেনাবেচা। কিছু ইলিশ নিয়ে জেলেরা ঘাটে ভিড়ছেন। তার দাম আকাশছোঁয়া।
গত বছর এ সময় প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে একশ মণ ইলিশ চাঁদপুরের প্রধান মৎস্য আড়তে বেচাকেনা হতো। আর এ বছর প্রতিদিন ১০-১৫ মণ ইলিশ সরবরাহ হচ্ছে। জেলেদের জালে আহরিত ইলিশ চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে নিয়ে আসলে কর্মব্যস্ততা বাড়ে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে। তবে এবার সেই চিত্র ভিন্ন। মাছ কম থাক হাঁকডাক নেই আড়তে।

মাছঘাটে আসা জেলে আদেল উদ্দিন বলেন, নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ কম। নদীতে স্রোত ও পানি কম থাকলে ইলিশ জালে ওঠে না। ভোর থেকে জাল ফেলে এখন পর্যন্ত তেলের খরচ ওঠে না। এভাবে চললে আমাদের ঋণের বোঝা আরও বাড়বে।
ক্রেতা রনি দেওয়ান বলেন, ইলিশ খুব কম, তারপর আবার দাম বেশি। গতবছরও একই অবস্থা ছিল। আগে বিভিন্ন ধরনের মাছ এ আড়তে পাওয়া যেত কিন্তু এখন পাওয়া যায়। মাছ কই যায়, এটি নিয়ে কেউ ভাবছে না। দায়িত্ব অবহেলা সব যায়গায়।

বড়স্টেশন মাছঘাটের ইলিশ ব্যবসায়ী রুবেল গাজী বলেন, এ মৌসুমে ইলিশ একেবারেই কম, যা আসলে তা দিয়ে বেচাকেনা চলে না। নদীর ইলিশ কম থাকায় দাম বেশি। বর্তমানে মাছঘাটে এখন এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকা। আর ছোট আকারের ৫০০-৭০০ গ্রামের ইলিশ ১৩০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের পুরোপুরি মৌসুম শুরু হলে দাম কমতে পারে।
একুশে সংবাদ/ জা.নি./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :