আখাউড়া পৌর মেয়র ‘কুলাঙ্গার বলে আখ্যায়িত করলেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মনির হোসেনকে ‘কুলাঙ্গার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল।
সোমবার (৬ মে) বিকেলে আচরণবিধি ভঙ্গ করে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেনের সমর্থনে এক সভায় মেয়র এই ভাষা উচ্চারণ করেন।
পৌর মেয়রের এমন বক্তব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধির ১৫ ধারা ‘ক’ উপধারা পরিপন্থী। এতে বলা আছে, নির্বাচনী প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে বক্তব্য প্রদান, কোনো ধরনের তিক্ত বা উসকানিমূলক, মানহানিকর কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোনো বক্তব্য প্রদান করিতে পারিবে না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, ‘এবার আর কোনো নয়ছয় নয়। আমরা দেখবো কোন ওয়ার্ডে কোন গ্রামে কে জামায়াত-বিএনপি ও এন্টি আওয়ামী লীগ। আমরা তাদেরকে চিহ্নিত করবো। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে জামায়াত-বিএনপি করবে, দলের দুঃসময়ে থাকবে না সেটা তো মানা হবে না।’
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আরেক প্রার্থী মো. মনির হোসেনকে কুলাঙ্গার হিসেবে আখ্যায়িত করে তাকজিল খলিফা বলেন, ‘আমরা মনিরের মতো কুলাঙ্গার না। তিনি আখাউড়ার কোন কোন নেতাকে নাকি লাঞ্চিত করেছেন বলেন! আমি বলবো এসবের প্রতিশোধের জন্য প্রস্তুত থাকুন।’ আওয়ামী লীগ সঙ্গে থাকায় মুরাদ হোসেনের জয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদও ব্যক্ত করেন।সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাবেক আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদীন, সাবেক সভাপতি ও প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর মুরাদের সমর্থনে সরে দাঁড়ানো শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন বাবুল ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন প্রমুখ।
বক্তব্য জানতে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
এই বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন বলেন, আমি ১৮ বছর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। আমি তিনবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচন উন্মুক্ত এবং অবাধ সুষ্ঠু করার ঘোষণা দেওয়ায় আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। মেয়রের এমন বক্তব্য দুঃখজনক, তিনি কীভাবে এমন বক্তব্য দিতে পারেন।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম বলেন, আচরণবিধি অনুযায়ী সরকারি কোনো স্থাপনায় নির্বাচনী কোনো সভা করা যাবে না। ইউনিয়ন পরিষদেও করা যাবে না। এই বিষয়ে আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবার কাগজে কলমে তিনজন প্রার্থী থাকলেও শেখ বোরহান উদ্দিন সরে দাঁড়ানোয় দুই প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে। তারা হলেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :