AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কিশোরগঞ্জের হাওড়ে অনাবাদি জমিতে ঘাস চাষে লাভবান কৃষক


কিশোরগঞ্জের হাওড়ে অনাবাদি জমিতে ঘাস চাষে লাভবান কৃষক

বাংলাদেশের হাওড় জেলা নামে পরিচিত কিশোরগঞ্জের জেলার অন্যতম বৃহত্তর হাওড়ের নাম জোয়ানশাহী।বর্ষার পর হাওড়ের একমাত্র ফসল হিসেবে কৃষকরা বেছে নেন বোরোধানের চাষাবাদ। দুর্গম এই হাওরে একসময়ে অর্ধেকের বেশি জমি পড়ে থাকত অনাবাদি হিসেবে।কাল পরিবর্তনে এখন সেই অনাবাদি জমিতে হচ্চে ঘাসের চাষ।আর ঘাস চাষ করেই এখানকার কৃষকরা লাভবান। সরেজমিন হাওড়ে গিয়া অসংখ্য কৃষকের কাছ থেকে পাওয়া যায় এমন তথ্য।

কিশোরগঞ্জ জেলার জোয়ানশাহী হাওড়টি নিকলী,বাজিতপুর, অষ্ট্রগ্রাম ও মিটামইন উপজেলার মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত।দীর্ঘ ২০ কিলেমিাটার আয়তন নিয়ে এই সর্ববৃহৎ হাওড়ে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশের বেশ কিছু কৃষকের নিজেদের জমি থাকায় এখানে এসে বাথান তৈরি করে বোরোধানের আবাদ করে থাকেন।সম্প্রতি গরু মোটাতাজাকরনের উদ্দেশ্যে এই হাওরে ঘাসের ব্যাপক আবাদ করা হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা।তাদের ভাষ্যমতে এখানকার কিছু জমি খুব বেশি উঁচু থাকায় ধান আবাদে পোষায় না।তাই প্রাকৃতিক ঘাসের পরিচর্চা করে লাভবান হচ্ছে অসংখ্য কৃষক।এই হাওরে ঘাস চাষের পাশাপাশি ভুট্টার আবাদ করে ধানের তুলনায় লাভবান বলে জানান কৃষকরা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা মেলে, নারীরাও গবাদিপশু মোটাতাজাকরণে সহযোগিতা করছেন।এখানকার হাওড়ের ঘাস খেয়ে গরু,মহিষ সতেজ ও সবল এমনকি রোগবালাইও তুলনামূলক কম হয়ে থাকে।উৎকৃষ্ট মানের সুস্বাদু দুধ দিয়ে থাকে গাভীগুলো।এখানকার দুধের কদর রয়েছে বলে জানা যায় কৃষক,এলাকাবাসী,মিষ্টি বিক্রেতাসহ বিভিন্ন নানা শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে।

নিকলীর ছাতিরচরের বৃদ্ধ কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, জোয়ানশাহী হাওড়ের পাঁচ হাজার একর জমির মধ্যে দেড় হাজার একরে ঘাস চাষের জন্য পরিচর্চা করা হচ্ছে।সেচ,নিরানি খরচ ও নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘাসই ঝুঁকিমুক্ত এবং অধিক লাভজনক হওয়ায় এলাকার এক-তৃতীয়াংশ লোক গরু পালন করে বলেও তিনি দাবি করেন।

হাওরে অবস্থানকারী দিলোয়ারা জানান, তিনি হাওরে সিজনাল গরু পালন করেন স্বামীর সাথে।পাশাপাশি জমির অতিরিক্ত ঘাস ও গোবর দিয়ে লাকড়ি তৈরি করে বিক্রি করে থাকেন।গরু পালনে প্রায় অর্ধেক লাভ বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান চৌধুরী বলেন,পাঁচ উপজেলার মধ্যবর্তী ২০ কিলোমিটার বৃহৎ এই জোয়ানশাহী হাওরে আনুমানিক পাঁচ লক্ষাধিক লোক গরু-মহিষ লালন পালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন।এত বড় শিল্প বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি আছে কি না সন্দেহ পোষণ করে তিনি এবং এই শিল্পের পরিচর্চা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে প্রসাশনের সুদৃষ্টিও কামনা করেন।

জেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বলেন, চলতি মৌসুমেও জোয়ানশাহী হাওরে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে,তবে গত বছর ভালো ফলন ও দাম পাওয়ার পরেও অধিক জমিতে ঘাসের পরিচর্চা করে গবাদিপশু পালনে ব্যস্ত বাথানে থাকা কৃষকরা।জমির তারতম্য ভেদে কৃষকরা ঘাস পরিচর্চা করে এবং গরু মোটাতাজাকরণে অনেক কৃৃষক লাভবান এমন তথ্যেও তিনি যুক্তি তুলে ধরেন।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!