AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মিল্টনের প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ধার সেলিমের পেটে অস্ত্রোপচারের দাগ


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,ময়মনসিংহ
০৪:০৬ পিএম, ১১ মে, ২০২৪
মিল্টনের প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ধার সেলিমের পেটে অস্ত্রোপচারের দাগ

নিজের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় দিয়ে কিডনি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ আগে থেকে রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের সত্যতা মিলতে শুরু করেছে। তার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ থেকে ফেরত আনা প্রতিবন্ধী সেলিম মিয়ার (৪০) পেটে অস্ত্রপোচারের দাগ পাওয়া গেছে। 

তিনি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বৃপাচাশি গ্রামের হাসিম উদ্দিনের ছেলে। পরিবারের অভিযোগ, মিল্টন সমাদ্দার সেলিমের কিডনি বিক্রি করে দিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সেলিমকে উদ্ধার করে বাড়িতে আনা হয়। আজ শনিবার ওই গ্রামে সেলিমের ছোট বোন ফারজানা আক্তার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, চার ভাইয়ের মধ্যে সেলিম সবার বড়। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। বছরখানেক আগে সেলিমের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যার কারণে তাকে মাঝেমধ্যে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। শিকল খুলে সেলিম বিভিন্ন জায়গায় চলে গেলেও আবার বাড়ি ফিরে আসতেন। প্রায় ছয় মাস আগে এক সন্ধ্যায় সেলিম মিয়া নিখোঁজ হয়েছেন। এর পর আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।  

তিনি জানান, মিল্টন সমাদ্দারের খবর টেলিভিশনে দেখে তার প্রতিষ্ঠানে সন্ধান চালায়। পরে সেলিমের ছোট ভাই মাহিন গিয়ে মিল্টনের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’-এ তার খোঁজ পায়। তাকে গত বৃহস্পতিবার উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তবে তাকে উদ্ধারের পর পেটে অপারেশনের দাগ দেখতে পাওয়া গেছে। পরিবারের দাবি, মিল্টন সমাদ্দার সেলিমের অঙ্গ বিক্রি করে দিয়েছেন।

মিল্টনের ছোট ভাই মাহিন বলেন, ‘আগে ভাই শুধু পাগলামি করত। এখন নিস্তেজ হয়ে গেছে। কিছু খাইতে চায় না। মাঝেমধ্যে বমি করে এবং সারাক্ষণ ছটফট করে। আগে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখলেও এখন তা লাগে না। ’

মা রাবিয়া আক্তার (৭০) ছেলের এমন অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ভালো ছিল। তার পেটে কেটে কিডনি নিয়েছে মিল্টন। এখন তাকে বাঁচাবো কেমনে?’

সরেজমিনে সেলিমের পরনের শার্ট খুলে পেটের ডান পাশে সার্জারির দাগ দেখা যায়।  

স্ত্রী ফাতেমা বলেন, আমার স্বামীর শরীরে কোনো দাগ ছিল না। এখন এটা কিসের দাগ, তা বুঝতে পারছি না। খবরে দেখলাম, মিল্টন সমাদ্দার মানুষের অঙ্গ বিক্রি করে দিতেন। আমরা তাকে (সেলিমের) ডাক্তার দেখিয়ে জানার চেষ্টা করব।  

গত ১ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।  এরপর তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবদ করা হয়। সেখানে মিল্টন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করেছে ডিবি।


একুশে সংবাদ/হ.ক.প্র/জাহা  
 

Link copied!