নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় দ্বিতল ফ্লাইওভার প্রকল্পের নির্মাণ কাজে রাস্তা খুঁড়ে পাইলিং করার সময় তিতাস গ্যাসের মূল বিতরণ সংযোগের পাইপ ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুনে রাস্তার পাশের একটি ভবনের প্লাস্টিকের সুয়ারেজের বেশ কয়েকটি লাইন ও বিদ্যুতের তার পুড়ে যায়। এছাড়া ৮ থেকে ৯টি টিনসেড দোকান পুড়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।
রোববার (১২ মে) সকালে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সড়কে ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সড়কে ২০২৩ সাল থেকে দ্বিতল ফ্লাইওভার প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে। রবিবার সকাল দশটায় শাসনগাঁও এলাকায় রাস্তা খুঁড়ে পাইলিং নির্মাণের কাজ করার সময় মাটির নিচে তিতাস গ্যাসের মূল বিতরণ সংযোগের বারো ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ ফেটে সেখানে আগুন ধরে যায়। গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে আগুন প্রায় ছয় তলা ভবন সমান উঁচুতে উঠে যায়। এসময় আতঙ্কে আশপাশের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার বের হয়ে এসে ছোটাছুটি শুরু করেন। আগুনে একটি পাঁচ তলা ভবনের প্লাস্টিকের সুয়ারেজের বেশ কয়েকটি লাইন ও বিদ্যুতের তার পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ওই এলাকার মূল বিতরণ লাইনের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিলে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ফতুল্লা, পাগলা ও শহরের মন্ডলপাড়া স্টেশনের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলা এগারোটায় আগুন পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এর উপপরিচালক মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন আহমেদ বলেন, আগুনের খবর পাওয়ার পর আমাদের তিনটি স্টেশন থেকে ছয়টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এর আগে তিতাস কর্তৃপক্ষ ওই পাইপ লাইনের গ্যাস সরবরাহ
তবে এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়িদের অভিযোগ, কোন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ফ্লাইওভার প্রকল্পের নির্মাণ কাজ করায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অবলম্বনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ করার দাবি জানান তারা।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ক্ষতিগ্রস্ত সংযোগ মেরামতের কাজ শেষ হলে পুনরায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :