কোটচাঁদপুরে ছিনতাই-চুরি বাড়লে গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

আলমসাধু ছিনতাইয়ের পর কোটচাঁদপুরে চুরি হয়েছে মটরসাইকেল। গেল ৩ দিনে দুটি ঘটনা ঘটেছে এ উপজেলায়। তবে এখনও উদ্ধার হয়নি আলমসাধু ও মটরসাইকেল। আটক হয়নি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কেউ।
জানা যায়, গত রবিবার ১২ মে সন্ধ্যায় কোটচাঁদপুর পৌরসভা সড়ক থেকে প্যানেল মেয়র সোহেল আরমানের মটরসাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। এর আগে ১০ মে শুক্রবার ভোর রাতে কোটচাঁদপুর-তালসার সড়ক থেকে ছিনতাই হয়ে যায় স্থানীয় পারলাট গ্রামের বাবুল হোসেন ও শিমুল হোসেনের আলমসাধু। 
এ ব্যাপারে আলমসাধু ড্রাইভার বাবুল হোসেন বলেন, ১০ মে শুক্রবার বিকেলে আমরা দুই ভাই চৌগাছা হতে কাঠ বোঝায় করে ভেড়ামারা যাচ্ছিলাম। ওইদিন কাঠ বোঝাই করতে রাত হয়ে যায়। এ কারণে আমরা কাঠ বোঝাই আলমসাধু পারলাট বাসায় নিয়ে যায়। এরপর ভোর রাতে ভেড়ামারায় রওনা হই।
তিনি বলেন, ওই সময় আমাদের আলমসাধুটি তালসার বাজার পুলিশ ক্যাম্পের অদূরে মাঠে পৌঁছালে দেখতে পাই সড়কের দুই পাশের গাছে বাঁশ বাঁধা রয়েছে। আমরা বুঝে উঠার আগেই ছয়/সাত জন এসে আমাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। এরপর পাশের একটি পেয়ারা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে  চোখ মুখ, হাত গাছের সাথে বেধে আমাদের উপার্জনের একমাত্র বাহন আলমসাধু দুইটি নিয়ে পালিয়ে যায়। নিয়ে যায় দুটি মোবাইল ফোনও। 
ওই ঘটনায় বাবুল হোসেন ও শিমুল হোসেন থানায় অভিযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন। 
কোটচাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সোহেল আরমান বলেন, ওইদিন সন্ধ্যা রাতে সড়কে পাশে মটরসাইকেল পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রাজেদুল ইসলাম রাজা মিয়ার স্ত্রীর জানাজায় গিয়েছিলাম। এরপর জানাজা শেষে ফিরে এসে মটরসাইকেলটি আর পাওয়া যায়নি। চুরির ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগেও কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর পুলিশ ফাঁড়ি ও মানিক দিহি সড়ক থেকে আলমসাধু, টাকা, মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। 
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর মডেল থানার ওসি সৈয়দ আল মামুন বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ছাড়া আসামিদের আটক করা এবং গাড়ি উদ্ধারের চেষ্টা ও অব্যাহত রয়েছে।

একুশে সংবাদ/ এসএডি