জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কৃষ্ণচূড়ার প্রেমে মুগ্ধ হয়ে কবিতায় লিখেছেন। “কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরী কর্ণে, আমি ভুবন ভোলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে”।“রেশমি চুড়ির তালে কৃষ্ণচূড়ার ডালে পিউ কাঁহা, পিউ কাঁহা ডেকে ওঠে পাপিয়া” প্রচন্ড তাপপ্রবাহের মাঝে কৃষ্ণচূড়ার লাল আভা প্রশান্তির ছোঁয়া এনে দেয় হৃদয়। খরতা আর রুক্ষতাকে ছাপিয়ে প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া নিজেকে মেলে ধরেছে পরম ভালোবাসায়। তপ্তরাজ্যে এমন উজ্জ্বল লাল রং সত্যিই দুর্লভ বলেই হয়তো সবাই মেতে ওঠে কৃষ্ণচূড়ার বন্দনায়।
ময়মনসিংহের নান্দাইলে ঐতিহ্যবাহী দেওয়ানগঞ্জ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম ফুল যেন স্বাগত জানাচ্ছে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও পথচারীদের। কৃষ্ণচূড়ার সবুজ চিরল পাতার মাঝে যেন রক্ত রঙের ফোয়ারা বাতাসে দোলছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং পথচারীরা পুলকিত নয়নে উপভোগ করেন এই সৌন্দর্য। সবুজের বুক চিরে বের হয়ে আসা লাল ফুল এতটাই মোহনীয় যে,পথিচারীরাও থমকে দাঁড়াতে বাধ্য হন।ধারণা করা হয়, রাধা ও কৃষ্ণের নাম মিলিয়ে এ বৃক্ষের নাম হয়েছে কৃষ্ণচূড়া। এর বড় খ্যাতি হলো গ্রীষ্মে যখন এই ফুল ফোটে, এর রূপে মুগ্ধ হয়ে পথচারীরাও থমকে তাকাতে বাধ্য হন। দেওয়ানগঞ্জ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পথচারীদের সহজেই চোখে পড়ে কৃষ্ণচূড়ার লাল টুকটুকে ফুল। বহুদূর থেকে দেখলে মনে হয় ওই দূরে আগুন লেগেছে। কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম ফুলে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সাজে। রক্তিম কৃষ্ণচূড়ার ফুল শিক্ষক,ছাত্রছাত্রী ও পথচারীদের মন ভুলিয়ে ও চোখ জুড়িয়ে দেয়।
কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম ফুলের মালা গাঁথছে মেয়েরা,পড়ছে খোপায়। দলবেঁধে ছাত্রছাত্রীরা ছবি তুলছে,কেউ কেউ সেলফি তুলে ছেড়ে দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে। যেন কৃষ্ণচূড়ার রঙিন ফুলে নিজেদের রাঙাতে চাচ্ছে সবাই।
বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী অনিকা,ইভা,চাঁদমনি জানায় কৃষ্ণচূড়ার রঙিন ফুলের রঙে তারা যেন রঙিন হয়ে উঠেছে। তারা বলে আমরা রঙিন ফুলের মালা গেঁথেছি, খোঁপায় পড়ছি।সেলফি তুলে আনন্দ পাচ্ছি। আমরা খুব এনজয় করছি।
দেওয়ানগঞ্জ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম মল্লিক বলেন, আমার বিদ্যালয়ের সামনে চারটি কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে। প্রকৃতিতে এখন মনোমুগ্ধকর রঙ ছড়িয়েছে এই কৃষ্ণচূড়া।যা আমাদের বিদ্যালয়কে রঙে রঙে সাজিয়ে তুলেছে।এ রঙ ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :