সড়ক পথে ফরিদপুরে প্রবেশ করতেই যানবাহন চালকদের করা হচ্ছে ডোপ টেস্ট, পেশার মাপাসহ নানা পরীক্ষা। সড়ক দুর্ঘটনারোধে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ডোপ টেস্টে পজিটিভ পাওয়ায় তিন চালকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুপুরে ফরিদপুরের প্রবেশদ্বার রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিভিন্ন যানবাহনের ফিটনেস ও কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। পাশাপাশি যানবাহন চালকদের ডোপ টেস্ট, ব্লাড পেশার ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বদরুজ্জামান রিশাদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বিআরটিএর কর্মকর্তাবৃন্দ যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা করেন ও সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসকরা চালকদের বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করেন।
যানবাহনের চালকদের ডোপ টেস্ট করা হলে রাসেল শেখ ও আজিম হোসেন নামে দুই ট্রাকচালক এবং ও মিজানুর রহমান নামে এক বাসচালক নেশাগ্রস্ত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করে মামলা দিয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বদরুজ্জামান রিশাদ জানান, সড়ক দুর্ঘটনারোধে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনজন চালককে ডোপ টেস্ট করা হলে পজিটিভ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার জানান, ফরিদপুরে যে গাড়িগুলো প্রবেশ করবে সেই সকল গাড়ির চালকসহ স্টাফদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। আবার ফরিদপুর থেকে যে গাড়িগুলো ছেড়ে যাবে তাদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সকল গাড়ির ফিটনেস ও চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করা হবে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও জানান, শুধুমাত্র গাড়ির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে না। চালক যদি অসুস্থ থাকে তাহলে তার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। চালক যদি সুস্থ না থাকে তাহলে সে গাড়ি নিরাপদে চালাতে পারবে না। এ কারণে সকল চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। আমরা দেখতে পেয়েছি অনেক চালক উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন, আবার অনেকের ডোপ টেস্টে পজিটিভ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :