ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। যদিও কাঁঠাল পাকার সময় বাকি রয়েছে আরও কিছুদিন।
জেলার প্রত্যেকটি বাড়িতে, রাস্তার ধারে, শহরে ও জঙ্গলের ভেতরে থাকা গাছে ধরেছে প্রচুর কাঁঠাল। গাছের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এই ফল।
এখানকার মানুষের অতি প্রিয় ফল হিসেবে কাঁঠালের কদর পেয়ে আসছে। কাঁঠালের আঁটিও একটি তরকারি। বিশেষ করে কাঠালের আঁটি দিয়ে তৈরি ভর্তা সকলের অত্যন্ত প্রিয়। বিভিন্ন ধরনের শাক ও কাঁঠালের বিচির সমন্বয়ে রান্না করা তরকারি এ এখানকার মানুষ তৃপ্তির সঙ্গে ভাত খেতে পারে। তাছাড়া গবাদিপশুর জন্যও কাঁঠালের ছাল উন্নতমানের গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এক প্রকারের সবুজ রঙের সুমিষ্ট গ্রীষ্মকালীন ফল। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসাবে সরকারিভাবে নির্ধারিত।
বাংলাদেশের সর্বত্র কাঁঠাল গাছ পরিদৃষ্ট হয়। কাঁঠাল গাছের কাঠ আসবাবপত্র তৈরির জন্য সমাদৃত। কাঁঠাল পাতা বিভিন্ন প্রাণীর পছন্দের খাদ্য। এই ফলের বহির্ভাগ পুরু এবং কান্টকাকীর্ণ, অন্যদিকে অন্তরভাগে একটি কান্ড ঘিরে থাকে অসংখ্য রসালো কোয়া।
কাঁঠাল বিক্রেতা হাসেম সেখ জানান, এবছর বাড়ির গাছে অনেক কাঁঠাল ধরেছে।কাঁঠাল উৎপাদন আলাদা তেমন কোনো যত্ন নিতে হয় না বলে এর উৎপাদন খরচও নেই।
মধুখালি উপজেলায় সামনে থেকে কথা হয় জামাল উদ্দিনের সাথে তিনি বলেন ,গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল ফল।এবার কাঁঠাল গাছে অনেক কাঁঠাল এসেছে।আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দাম ভালো পাওয়া যাবে। তাছাড়া কাঁঠাল ফল খেতেও সুস্বাদু।
পুষ্প নামে এক গৃহিনী জানান, কাঁঠালের তরকারিও খেতে অনেক ভালো লাগে।আর কাঁঠালের তরকারি পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে।আমার বাড়িতে কাঁঠালের গাছ রয়েছে। কাঁঠালও অনেক ধরেছে।আশা করছি এবার খাওয়ার পরও কিছু কাঠাল বিক্রি করবো।
ময়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কালিপদ চক্রবর্ত্তী জানান, কাঁঠাল আমার একটি প্রিয় ফল। এটি অত্যাধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। কাঁঠালের কোন অংশই পরিত্যক্ত থাকে না।
একুশে সংবাদ/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :