ইনজুরি আক্রান্ত পেসার তাসকিন আহমেদকে রেখেই আজ যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ধারাবাহিক পারফরমেন্সের সুবাদে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তাসকিন। বিশ্বকাপে নাজমুল হোসেন শান্তর ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এই ডান-হাতি পেসার।
কিন্তু এমন সিদ্ধান্তে নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। কারন সাইড স্ট্রেইন ইনজুরি পড়ায় বিশ্বকাপের আগে তাসকিন পুরোপুরি সেরে উঠতে পারবেন কিনা, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।
তাসকিনের সুযোগ হলেও বিশ্বকাপ দলে অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে রাখেনি গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় নির্বাচক প্যানেল। সাইফুদ্দিনের জায়গায় নেওয়া হয়েছে পেসার তানজিম হাসান সাকিবকে।
তাসকিন ও সাইফুদ্দিনের বিষয়টি বাদে বিশ^কাপ দলটি আগ থেকেই অনুমেয়ই ছিলো।
আজ দল ঘোষনাকালে লিপু বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে তাসকিন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে বলে আত্মবিস্বাসে বিসিবির মেডিকেল টিম। এ কারণেই দলে রাখা হয়েছে তাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এটি প্রায় নিশ্চিত, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে পারবেন না তাসকিন।’
গত ১২ মে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি আগে ইনজুরিতে পড়ায় সিরিজের শেষ ম্যাচে খেলতে পারেননি তাসকিন। প্রথম ৪ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি।
তাসকিনকে সতর্কতার সাথে পরিচর্যা করার কথা জানিয়ে লিপু বলেন, ‘সে ইনজুরিতে আক্রান্ত এবং তাকে সাবধানে সামলানো উচিত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চারটি ম্যাচ খেলেছে সে, কিন্তু তাকে আগেই বিশ্রাম দিতে পারতাম আমরা।’
বাছাই প্যানেলের চেয়ারম্যান জানান, একাগ্রতা ও নিজেকে উজার করে দেওয়ার মানসিকতার কারনে দলে সুযোগ পাবার ক্ষেত্রে সাইফুদ্দিনের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন তানজিম।
লিপু বলেন, ‘৩০ এপ্রিল আইসিসির কাছে আমরা যে দল জমা দিয়েছিলাম, ঐ দল থেকে একমাত্র পরিবর্তন সে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের দৃস্টিতে সাইফুদ্দিনের চেয়ে এগিয়ে তানজিম। দু’জনের মধ্যে হাড্ডাহড্ডি লড়াই হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমনটা নয়, আমরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাত্র একটি সিরিজে তানজিমকে দেখেছি। আমরা শ্রীলংকার বিপক্ষে দেখেছি তাকে। একাগ্রতা এবং সেরাটা দিতে মুখিয়ে থাকাটাই তাকে এগিয়ে রেখেছে। সে একজন ভালো ফিল্ডারও। আমরা ডেথ ওভারে সাইফুদ্দিনের কাছ থেকে অনেক বেশি ইয়র্কার দেখিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে ডেথ বোলার হিসেবেই ভাবা হয় তাকে, কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার কিছু বাউন্সার ডেলিভারি ব্যাটারদের মাথা পর্যন্ত ছিলো।’
স্বাভাবিকভাবে দলে আছেন সাকিব আল হাসানও। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ থেকে প্রতি আসরেই খেলা দ্বিতীয় খেলোয়াড় সাকিব। অন্যজন হলেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। টি-টেয়েন্টি বিশ^কাপের সব আসরেই খেলেছেন রোহিত।
সাদা-বলের ক্রিকেটে অফ ফর্মে থাকলেও বিশ^কাপ দলে রাখা হয়েছে লিটন দাসকে। বিশ^কাপের আগে লিটন ফর্ম ফিরে পাবেন বলে আশাবাদি লিপু।
তিনি বলেন, ‘লিটন ধারাবাহিক নয়। কিন্তু নিজের ভুলগুলো নিয়ে কঠোরভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। আশা করছি, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফর্মে ফিরবেন লিটন।’
তিনি বলেন, ‘একই সাথে এমন প্রশ্নও ছিল, লিটনের জায়গায় উইকেটরক্ষক হিসেবে কে সুযোগ পাবে? কনকশন সাব পরিস্থিতি বিবেচনায় দলে দু’জন উইকেটরক্ষক দরকার। একারনে আমরা এনামুল হক বিজয়কে নিয়েও আলোচনা করেছি। কিন্তু তার ফর্ম খারাপ থাকায়, আমরা লিটনের উপর আস্থা রেখেছি।’
মেগা ইভেন্টে প্রস্তুতির জন্য বিশ^কাপের আগে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
৮ জুন ডালাসে শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করবে টাইগাররা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :