রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় তিন ফসলি জমির উপরি ভাগের মাটি কেটে পুকুর ভরাটের কাজ শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রভাবশালী কামাল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। উপজেলার কলমা ইউনিয়ন ইউপির নলপুকুরিয়া গ্রামে ঘটে রয়েছে ঘটনা। ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে হেরো ট্র্যাক্টরে মাটি বহন করে পুকুরটি ভরাট করছেন ওই গ্রামের প্রভাবশালী কামাল নামের এক ব্যক্তি। এতে করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন যেমন হচ্ছে তেমনি ভাবে শব্দে অতিষ্ঠ পাশে বসবাস কারীরা। অথচ উপজেলায় পুরাতন পুকুর পুন সংস্কার করার জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। আর শ্রেনী পরিবর্তন না করে দাপটের সাথে পুকুর ভরাট করলেও রহস্য জনক কারনে নিরব প্রশাসন।
গত সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কলমা ইউপির কুজিশহর থেকে আজিজপুর যাওয়ার রাস্তার নলপুকুরিয়া মাঠের দক্ষিণ পশ্চিমে বাঁশ ঝাড় সংলগ্ন ফসলী জমির মাটি কেটে ওই জমি সংলগ্ন পশ্চিমে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। পুকুরের উত্তরে, পশ্চিমে ও দক্ষিণে ধানী জমি। আর পূর্ব দিকে বাঁশঝাড় ও কয়েকটি বসতবাড়ি রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব শালী নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে দিনরাত সমান তালে ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে দাপটের সাথে।
সেখান থেকেই অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার শামসুল ইসলাম কে মোবাইলে বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, আইনে কি আছে জেনে বলেন ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফসলী জমি কেটে পুকুর ভরাট হয় কিনা প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন ফসলী জমির মাটি কেটে পুকুর ভরাটের কোন সুযোগ নেই, খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, পুরাতন পুকুর সংস্কার করতে হলে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। আবার শর্ত থাকে কোনভাবেই মাটি বের করা যাবে না। আর কামাল কিভাবে পুকুর ভরাট করেন বুঝে আসেনা। উপজেলাটি প্রচন্ড খরা প্রবন। আবার ভূগর্ভের পানি দিনের দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। উপরি ভাগের পানি রক্ষা করার জন্য বিএমডিএ থেকে খাস পুকুর ও খাল খনন করা হয়েছে। তাহলে কামাল কোন ক্ষমতা বলে পুকুর ভরাট করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে এমন নানা প্রশ্ন বিরাজমান।
সুত্রে জানা যায়, গত দু বছর আগে সরনজাই ইউপির সরকার পাড়া বাজারে ছোট আকারের খাস পুকুর ভরাট করা হয়েছিল। এঘটনায় আদালতে তৎকালীন ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ও সরনজাই ইউপির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাঁনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। পরে অবশ্য মিমাংসা হয়।
মান্দা ফেরিঘাট এলাকার ভেকু মেশিন মালিক জামাল জানান, ‘আমার জানা মতে কৃষি জমিতে পুকুর খনন এবং পুকুর ভরাটের কোন নিয়ম নেই। আমি মেশিন দিতে চায়নি। কিন্তু মালিক কালাম সবার কাছ থেকে নাকি অনুমতি নিয়েছেন, এজন্য কাজ করছি।’
মালিক কামাল বলেন, ‘আমার পুকুর ভরাট করব না খনন করব সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়।’ ফসলী জমির মাটি কেটে পুকুর ভরাট করা যায় না জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘কি যায় আর কি যায় না সেটা দেখা হব ‘ বলে দাম্ভিকতা দেখান তিনি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :