ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের লিচু। বিক্রেতারা বলছেন, গত তিন-চার দিন ধরে লিচু বাজারে আসা শুরু হয়েছে। তাই এখন লিচুর দাম বেশি, আবার ক্রেতাও কম। অন্যান্য জাতের লিচু বাজারে আসতে আরও এক থেকে দুই সপ্তাহ লাগবে। তখন লিচুর দামও কমবে আর বিক্রিও বাড়বে।
বৃহস্পতিবার (১৬মে) ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী, মধুখালি, আলফাডাঙ্গা, সালথা, নগরকান্দা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজার থেকে শুরু করে হাট-বাজার, ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে এমনকি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ঝুড়িতে করে বিক্রি করা হচ্ছে লিচু। কয়েকদিনের তুলনায় বাজারগুলোতে মৌসুমি ফল লিচুর আমদানি বেড়েছে। কিন্তু বাজারে লিচুর লিচুর সরবরাহ কম থাকলেও দাম এখনও অনেকটাই চড়া। অনেকেই শুধু দাম শুনে লিচু না কিনে ফিরে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
এবারে লিচু দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের সংখ্যা তুলনামূলক কম। বিক্রিও আশানুরূপ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। একদিন বিক্রি বাড়লে, আরেকদিন খুবই কম বিক্রি হয়। এভাবেই চলছে লিচুর বাজার।
লিচু ব্যবসায়ীরা শাহিন , লিচুকে অতিথি ফল বলা হয়। কারণ এই ফল বাজারে মাত্র এক থেকে দেড় মাসে থাকে। এখন বাজারে লিচু ওঠেনি। এ কারণে লিচুর দাম বেশি। দুই সপ্তাহ পর লিচুর ভরা মৌসুম শুরু হবে। তখন প্রচুর পরিমাণে লিচু বাজারে আসবে। বাজারে দিনাজপুর ও রাজশাহীর লিচু এলেই দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে। তখন সবাই লিচুর স্বাদ নিতে পারবেন।
লিচু নিয়ে এসেছেন হোসেন আলী । তিনি বলেন, রাজশাহীর বিখ্যাত বম্বে লিচু প্রতিবছরই প্রথমে ওঠে। এবারও উঠেছে। এখন স্বাদও মিষ্টি আছে। প্রথম দিনে ১০০ লিচুর দাম ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা।
বেলিব্রিজের উপর লিচু কিনতে এসেছেন আবদুল হক। তিনি বলেন, তবে আজ লিচু দেখে বেশ ভালো লাগছে। দাম বেশি হলেও অল্প পরিমাণে কিনেছি। স্বাদও ভালো।
বোয়ালমারী চৌরাস্তায় ফলের দোকানের সামনে কথা হয় লিচু কিনতে আসা কলেজ ছাত্র উজ্জ্বল সরকার তিনি বলেন, অন্য বছরের তুলনায় লিচুর শাঁস কম এবং আকারে ছোট হলেও দাম অনেক বেশি।
মধুখালি উপজেলায় জাহাজপুর এলাকায় বেশ কয়েকজন বাগান মালিকদের দাবি, তীব্র দাবদাহে লিচু ঝরে যাচ্ছে, তাই বাধ্য হয়ে পরিপক্ব হওয়ার আগেই লিচু বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। ফলে লিচুর আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভোক্তারা। আর কৃষি বিভাগ বলছে লিচুর গুণগতমান ঠিক রাখার জন্য আরও কয়েক সপ্তাহ পর লিচু সংগ্রহের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বাগান মালিকদের।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :