চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝর্ণায় নেমে তলিয়ে যাওয়া এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত সোয়া ৯টার দিকে চবি কলা অনুষদ ভবনের পেছনে পাহাড়ের পাদদেশে ঝর্ণার গভীর পানি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
জুনায়েদ হোসেন রিমন নগরীর সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। বাসা চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম জানান, বিকেল ৩টার দিকে একদল স্কুল শিক্ষার্থী প্রক্টরের কার্যালয়ে গিয়ে জানান, তাদের এক বন্ধু ঝর্ণায় নামার পর তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ আছে।
শিক্ষার্থীরা প্রক্টরকে আরও জানান, জুনায়েদসহ মহসিন স্কুল ও প্রবর্তক বিদ্যাপীঠের ১০-১৫ জন সমবয়সী শিক্ষার্থী শাটল ট্রেনে করে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চবি ক্যাম্পাসে যান। ঘণ্টাখানেক পর তারা কলা অনুষদের পেছনে পাহাড়ের পাদদেশে গিয়ে ঝর্ণায় নামে। একপর্যায়ে জুনায়েদকে তারা আর পাচ্ছিল না। দুপুর ২টা পর্যন্ত তারা ঝর্ণায় খোঁজাখুঁজি করেন। না পেয়ে প্রক্টর অফিসে যান।
প্রক্টর অহিদুল আলম বলেন, ‘প্রথমে আমরা হাটহাজারী ফায়ার স্টেশনের টিমকে নিয়ে আসি। তারা দু’ঘণ্টারও বেশিসময় খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। এরপর আরেকটি ডুবুরি দল শহর থেকে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। রাত সোয়া ৯টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর পর ওই ঝর্ণায় কারও যাওয়া আমরা নিষিদ্ধ করেছিলাম। এরপরও শিশুবয়সী স্কুল শিক্ষার্থীরা কিভাবে সেখানে যেতে পারল, সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি।’
ঘটনাস্থলে যাওয়া হাটহাজারী ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ্য কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বিভাগীয় কার্যালয় থেকে রাত ৯টার দিকে আমাদের একটি ডুবুরি দল এসে তল্লাশি শুরু করে। বেশিক্ষণ কাজ করতে হয়নি। শুরুতেই মৃতদেহ পাওয়া গেছে।’
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :