মৌলভীবাজারে স্কুলশিক্ষায় বিশ্বমান নিশ্চিতকরণের প্রত্যয় নিয়ে প্রতিষ্ঠিত ‘ইমাদুদদীন অ্যাকাডেমি’র প্রথম সেমিস্টারের পাঠ-মূল্যায়ন পরবর্তী ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান রবিবার (১৯ মে) সকাল ১০টায় অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইমাদুদদীন অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হামমাদ রাগিব বলেন, বাচ্চাদের চাপমুক্তভাবে হাসি-আনন্দ ও খেলাচ্ছলে পাঠদান করানোই আমাদের প্রধানতম লক্ষ্য। আমরা চাই বাচ্চারা শিখুক নিজ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে, তাহলে সে শেখাটা দীর্ঘস্থায়ী হবে, বাচ্চার বিকাশও বাধাগ্রস্ত হবে না। তাই আমরা ‘পরিমিত শেখাই শতভাগ শেখাই, পরিমিত পড়াই বিশুদ্ধ পড়াই’ নীতি অবলম্বন করি। বাচ্চাদেরকে আমরা একগাদা পাঠ দিয়ে দিই না, যতটুকু তারা নিতে পারবে ততটুকুই দেওয়া হয় এবং এর মধ্য থেকে বড় অংশটি ক্লাসেই শিখিয়ে দেওয়া হয়। অল্প কিছু পড়া রাখা হয় হোমওয়ার্ক হিসেবে। আমাদের এখানে পড়াশোনা ও অন্যান্য অ্যাকটিভিটিতে শিক্ষার্থীরা কারও থেকে কেউ পিছিয়ে থাকে না, সবাই মোটামুটি সমান গতিতে এগিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া, আমরা যা পড়াই ধারাবাহিকতার সাথে নিয়মিত পড়াই, ফলে নিয়মতান্ত্রিভাবেই জাতীয় পাঠ্যক্রমের সিলেবাস আমরা পূর্ণ করতে পারি।
হামমাদ রাগিব আরও বলেন, ইমাদুদদীন অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য হলো, বিশ্বায়নের এ যুগে মুসলিম ঘরের সন্তানদের পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠাকে বিশ্বমানের করে তোলা। সেই সাথে তাদেরকে পর্যাপ্ত ইসলামি শিক্ষাও প্রদান করা। তাই জাতীয় পাঠ্যক্রমের সাথে ইসলামি শিক্ষার সমন্বয় করে আমাদের সিলেবাসকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, এখানে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়াশোনার পর কোনো শিক্ষার্থী চাইলে মাদরাসার ক্লাস সিক্সেও ভর্তি হতে পারবে। পাশাপাশি, উচ্চারণে-আবৃত্তিতে, বিজ্ঞান গণিত ও ইংলিশেও তারা যথেষ্ট দক্ষ হয়ে উঠবে।
এ সময় অভিভাবকগণ বিগত সেমিস্টারে তাঁদের বাচ্চাদের পড়াশোনার অগ্রগতি ও অ্যাকাডেমির সামগ্রিক কার্যক্রমে উচ্ছ্বাস ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রথম সেমিস্টারের পাঠ-মূল্যায়নের ফলাফল প্রকাশ করা হয় এবং অ্যাকাডেমির স্টুডেন্ট অ্যাকটিভিটির বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাকাডেমির সকল শিক্ষার্থী ও তাদের নারী-অভিভাবকবৃন্দ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :