ফরিদপুরে কয়েক দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা।হঠাৎ করে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষজন।
রবিবার (১৯ মে) জেলার প্রতিটি বাজারে কেজি কাঁচা মরিচ ১৮০-২০০ টাকা করে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
জেলায় বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রচন্ড তাপপ্রবাহের এবং বৃষ্টির কারণে মরিচের সরবরাহ কমেছে। এতে বাড়ছে দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। এদিকে বাজারে এখন যে মরিচ আসছে, তা মানে খুব ভালো না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। গ্রীষ্মকালীন মরিচের গাছ এখন শুকিয়ে এসেছে। ফলনও আগের তুলনায় কমে এসেছে।
কাঁচা বাজার কিনতে আসা রফিক মোল্লা বলেন, লাগামছাড়া দাম কাঁচা মরিচের। খুচরা বাজারে দাম নিচ্ছে প্রায় ২০০-২২০ টাকা করে।
বোয়ালমারী কাঁচা করতে আসা গৃহিণী লিপি বলেন, কাঁচা মরিচের যে দাম বেড়েছে তা অনেক। বর্তমানে দ্রব্য মুল্যের উর্দ্ধগতির কারনে অনেক মানুষ মানবতার জীবন যাপন করছে।
সবজি ব্যবসায়ী রসুল মিয়া বলেন, জোগান কম হওয়ায় হঠাৎ করে বেড়ে গেছে কাঁচা মরিচের দাম। পুরোনো ক্রেতারাও এসে তর্ক জুরে দেয়। কিন্তু উপায় নেই আমরাও তো বেশি দামে কিনে বিক্রি করি।
মরিচের দাম নিয়ে এমন প্রেক্ষাপটে ক্রেতাদের পাশাপাশি চটেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরাও। তারা বলছেন, কিছুদিন পর পর একেকটা পণ্যের মূল্য নিয়ে তামাশা চলছে।
সোহাগ চক্র বর্ত্তী নামে এক ক্রেতা বলেন, পাশের দেশ থেকে হাজার-হাজার মেট্রিক টন মরিচ আমদানি করলেও কোনো লাভ হবে না। যদি বাজারের সিন্ডিকেট সরকার দমন করতে না পারে। অন্য দেশ থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করবে দুয়েক দিন দাম কম থাকবে; আবার দাম বাড়বে। বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে সরকারকে।
ফরিদপুর জেলা কনজুমারস এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ ফয়েজ আহমেদ বলেন, ভোক্তারা যাতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ন্যায্য মূল্যে পায় সে জন্য সংশ্লিষ্টদের নিয়মিত অভিযান চালানো উচিৎ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :