রংপুর জেলার মিঠাপুকুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে জোরপূর্বক প্রবেশ করে জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল পৌনে ১০টার দিকে শঠিবাড়ি কলেজ ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
আটক দুজন হলো- রুমান মিয়া (২৭) ও বাদশা মিয়া (২৮)। তারা উপজেলার শঠিবাড়ি দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শঠিবাড়ি কলেজ ভোটকেন্দ্রে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ৭-৮ জন যুবক ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে সিল মারার চেষ্টা করে। এসময় দুইজনকে আটক করলে বাকিরা পালিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, সকাল পৌনে ১০টার দিকে চেয়ারম্যানপ্রার্থী কামরুজ্জামান কামুর (হেলিকপ্টার) পক্ষে ৭-৮ জন যুবক শঠিবাড়ি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে। এসময় পুলিশ বাধা দিলে তারা অশোভন আচরণ করেন। এরপর ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ব্যালট পেপারের একটি বান্ডিল কেড়ে নিয়ে হেলিকপ্টার প্রতীকে সিল দিতে থাকে। এ ঘটনায় কর্তব্যরত পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশ সদস্যরা ওই ভোটকেন্দ্রে এসে দুইজনকে আটক করলে বাকিরা দ্রুত ভোটকেন্দ্র থেকে সটকে পড়েন।
মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ দুজনকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটকদের ব্যাপারে সহকারী রিটানিং অফিসারসহ ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেট আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবেন।
এদিকে সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে তেমন ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়নি। অনেক ভোটারই ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত বলে দাবি করেছেন মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার হোসেন মন্ডল মাওলা ও কামরুজ্জামান কামরু। তবে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে কাজ করছেন বলে তারা জানান।
পীরগঞ্জের প্রার্থী নূর মোহাম্মদ মন্ডল বলেন, ১০ বছর সংসদ সদস্য এবং ১০ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি মানুষের সেবা করার। আশাবাদী জনগণ আমাকে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী করবে।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসিবুল হাসান রুমি জানান, দুই উপজেলায় রয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার বাহিনী নিয়োজিত করার পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং র্যাব ও বিজিবির টহল রয়েছে।
একুশে সংবাদ/কা.ক/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :