AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অতিদরিদ্রদের তালিকায় ইউপি সদস্যদের সন্তান ও স্বজন, অংশ নেন না কর্মসূচিতে!


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,নীলফামারী
০৬:০৪ পিএম, ২১ মে, ২০২৪
অতিদরিদ্রদের তালিকায় ইউপি সদস্যদের সন্তান ও স্বজন, অংশ নেন না কর্মসূচিতে!

অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় বছরে দুই দফায় কাজের সুযোগ পান গ্রামের মানুষরা। সড়কের ক্ষুদ্র সংস্কার, রাস্তার ঘাস পরিষ্কারের মতো কাজ করেন এই কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৬ নং নাউতারা ইউনিয়ন পরিষদে এই ‍‍`অতিদরিদ্রদের‍‍` তালিকায় জায়গা পেয়েছে ইউপি সদস্যদের ছেলে, ভাইয়ের বউ ও ভগ্নিপতি। কিন্তু ইউপি সদস্যদের সন্তান ও আত্মীয় হওয়ায় মাটি কাটতে হয় না তাদের। এতে অস্বস্তি ঢেকুর তুলছেন কর্মসূচির অন্যান্যরা।

সরজমিনে দেখা গেছে, নাউতারা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আনোয়ারের বাড়ী থেকে ভাটিয়াপাড়া পর্যন্ত চলছে অতিদরিদ্রদের ৩৩ দিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি। এই কর্মসূচির ১৯১ নং জবকার্ডের সুবিধাভোগী ও ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাফর উদ্দিনের (কাচুয়া) ছেলে মো. শামীম ইসলাম। ১৩২ নং জবকার্ডের সুবিধাভোগী মোছা. নার্গিস বেগম ওই ইউপি সদস্য মো. জাফর উদ্দিনের ভাইয়ের বউ। অন্যদিকে ১৫৪ নং জবকার্ডের সুবিধাভোগী মো. আব্দুল খবির সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য মোছা. লাকী বেগমের ননদের স্বামী। 

ওই কর্মসূচির সদস্যরা জানান, তারা ইউপি সদস্যের ছেলে, আত্মীয়-স্বজন হওয়ায় মাটি কাটেন না। তাদের আত্মসম্মানে বাঁধে অথচ অতিদরিদ্রদের এই কর্মসূচিতে নিজেদের নাম লিখে টাকা খাচ্ছে। তাদের কাজগুলো আমাদের সবাইকে ভাগ করে করতে হয়। এতে আমাদের কষ্ট হলেও অনেকটা নিরুপায় হয়ে মেনে নিচ্ছি। এতদিনের চলমান কর্মসূচিতে মাটি কাটা তো দূরের কথা কোনদিনও তাদের ছায়াটাও দেখিনি।

ইউপি সদস্য মো. জাফর উদ্দিনের ছেলে শামীম ইসলাম বলেন, আমি কোনদিন মাটি কাটিনি। কিন্তু মাঝেমধ্যে গিয়ে খাতা পত্র লেখালেখি করি। কখনো মাটিকাটা হয়নি।

অন্যদিকে ১৩২ নং জবকার্ডের সুবিধাভোগী মোছা. নার্গিস বেগমকে মুঠোফোনে কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে নাউতারা ইউপির সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য মোছা. লাকী আক্তারের স্বামী জিয়াউর রহমান বলেন, আব্দুল খবির আমার ভগ্নিপতি। তিনি মাটি কাঁটেন না। ওই নামে সুবিধা আমি ভোগ করছি। তবে ও ১৫৪ নং জবকার্ডের সুবিধাভোগী আব্দুল খবির বলেন, জিয়া (জিয়াউর রহমান) আমার শ্যালক সে আপনার সাথে দুষ্টুমি করে ওসব কথা বলেছে। আমি প্রতিদিনই মাটি কাঁটার কাজে যাই। 

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. জাফর উদ্দিন বলেন, অতিদরিদ্র হওয়ায় আমার ছেলে এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী। আমার ছেলে খাতা পত্র দেখে। আমি অতিদরিদ্র কিন্তু ইউপি সদস্য। আর ইউপি সদস্যের ছেলে মাটি কাটবে? আপনি যা ইচ্ছে লিখতে পারেন। 

নাউতারা ইউপি চেয়ারম্যান আশিক ইমতিয়াজ মনি বলেন, ইউপি সদস্যদের সন্তান বা আত্মীয়-স্বজন অতিদরিদ্র হলে তারা এই কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগ করতেই পারেন। তবে এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা ইউপি সদস্যদের বা চেয়ারম্যানের সন্তান, আত্মীয়-স্বজন যেই হোক না কেন কর্মসূচিতে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে হবে। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মেজবাহুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানা নেই। ইউপি চেয়ারম্যান এর সাথে কথা বলে দেখি। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তাদের নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হবে।

একুশে সংবাদ/এস কে 

Link copied!