বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ইতিমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলের মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিভাগ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ পরিস্থিতিতে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা প্রশাসন চারটি ইউনিয়নের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা সহ ৯০ টি সাইক্লোন সেন্টার, পাঁচটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত ও পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ সকাল থেকে মংলা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এর কারণে ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাস ও ঘন্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে বাতাসের বেগ আঘাত আনতে পারে। শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের সবে য়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বগি তেরা বাকা উত্তর সাউথখালী গাবতলা রায়েন্দা ইউনিয়নের রাজেশ্বর কদমতলা এবং রায়েন্দা বাজার পূর্ব মাথা এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। এবং এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ ইতিমধ্যে সাইক্লোন সেন্টারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে বিভিন্ন সংস্থা সূত্রে জানা গেছে।
সিডর বিধ্বস্ত সাউথখালী এলাকার বাসিন্দা মোশারেফ হাওলাদার, আব্দুল খালেক হাওলাদার, আব্দুর রব চৌকিদার, লোকমান সহ অনেকেই জানান, ভুল করে সিডরের সময় সাইক্লোন সেল্টারে না গিয়ে যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি এ বছর সে ভুল করবনা। আমরা আগে থেকেই প্রস্ততি নিয়ে রেখেছি। সন্ধ্যার আগে পরিবার-পরিজন সহ সাইক্লোন সেন্টারে উপস্থিত হব।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাজীব বলেন লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বার্তা পাঠানো হয়েছে এবং সাইক্লোন সেণ্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ৯৬ টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি ৫টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এর খবর জনসাধারণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চলমান। পুলিশ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :