গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা সাব পোষ্ট অফিসটি বৃটিশ আমলে স্থাপিত হলেও এটির নিজস্ব কোন জায়গা ও ভবন না থাকায় যুগ যুগ ধরে ভাড়ায় চলছে এ পোষ্ট অফিসটির কার্যক্রম। এতে চরম দূর্ভোগে পড়ছেন সেবা গ্রহিতারা।
জানা গেছে, জেলার হাট-লক্ষীপুর, কামারপাড়া, কান্তনগর ছান্দিয়াপুর,বাজারপাড়া, ধোপাডাঙ্গা ও রাজিবপুর সহ ৭টি শাখা পোষ্ট অফিস নিয়ে নলডাঙ্গা এ সাব অফিসটি গঠিত হয়।
নিজস্ব জায়গা ও ভবন না থাকায় জনগুরুত্বপূর্ন অফিসটি এ পর্যন্ত ৪ থেকে ৫টি স্থানে স্থাহান্তর করা হয়েছে ।কিন্তু তবুও এনিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তা বাবুদের কোন ভাবনা নেই।নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগেরর সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরীফ আক্ষেপ করে বলেন, এ পোষ্ট অফিসটির বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগন সবই জানেন। কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের তেমন কোন গুরুত্ব নেই।আমি মনে করি সংশ্লিষ্টদের চরম অবহেলা আর গাফিলতিতে ঐতিহ্যবাহি এ অফিসটিতে কোন আঁধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। বর্তমানে অফিসটি নলডাঙ্গা সাউদিয়া মার্কেটের নীচতলার একেবারে ভিতরে একটি কক্ষে ৩ বছর মেয়াদে মাসিক দেড়হাজার টাকা ভাড়ায় এর দৈনন্দিন কাজকর্ম চলছে।
স্থানীয় ও ভূক্তভোগিদের অভিযোগ, ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলেই অফিসটি অন্যত্র স্থাহান্তরের পালা আসে। এভাবে গুরুত্বপূর্ন অফিসটি কখন কোথায় স্থাহান্তর করা হচ্ছে তা অনেকেই জানে না। এতে প্রতিনিয়ত সেবা গ্রহিতাদের বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে ।
শুধু তাই নয় কর্তৃপক্ষের নেক দৃষ্টির অভাবে মান্ধাতা আমলে ভাঙ্গাচুড়া চেয়ার টেবিল ও আসবাব পত্র গুলো এখনও রয়েছে। সেবামূলক প্রতিষ্ঠানটিতে গ্রাহকদের বসার তেমন কোন ব্যবস্থা। এর আগে ওই অফিসে গ্রাহকদের জন্য কোন রকম টয়লটের ব্যবস্থা ছিল না। সম্প্রতি ওই মার্কটে নতুন ভাড়ার চুক্তিতে আরেকটি রুম নেয়া হয়েছে। সেখানে একটি টয়লটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে পোস্ট অফিসটি একতলায় হলেও ২য় তলায় কোন রকম ভাবে স্যাঁত স্যাঁতে মরিচা ধরা নলডাঙ্গা পোষ্ট অফিস লেখা সম্বলিত একখানা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। হঠাৎ করে কেউ বুঝতেই পারবেনা ঐতিহ্যবাহি এ পোষ্ট অফিসটি এখানে রয়েছে। এমতবস্থায় বিশেষ করে নারী সেবা গ্রহিতারা অনেক সময় পোষ্ট অফিসট খুঁজে না পেয়ে তাদেরকে চরম হয়রানী ও বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, অফিসটি মার্কেটের একেবারে ভিতরে হওয়ায় আকাশ মেঘলা কিংবা বিদ্যুৎ চলে গেলেই গোটা অফিসটি যেন ভুতুরে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় কিছুটা গ্রাহক সেবা ও অফিসিয়াল কিছুটা কাজকর্ম ব্যাহত হয় বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগি সেবা গ্রহিতা হাবিজার রহমান ও জীবন আক্ষেপ করে বলেন, বৃটিশ আমলের স্থাপিত অফিসটিতে বসার মত নেই কোন জায়গা। ফলে অনেক সেবা গ্রহিতার দীর্ঘসময় দাড়িয়ে থেকে তাদের কাজ সাড়তে হচ্ছে।
এলাকার জনসাধারনের দাবি সরকার ডাক বিভাগের সেবা সর্বসাধারনের দোড় গোড়ায় সহসাই পৌঁছে দেয়ার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্ত সরকারের এ মহতী উদ্যোগ অবহেলিত এ পোষ্ট অফিসটির জন্য আজও কোন কাজে আসেনি।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় দেশের অনেক পোষ্ট অফিসের আমুল পরিবর্তন হলেও এ পোষ্ট অফিসটি আজও মান্ধাতা আমলের দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে।
নলডাঙ্গা পোস্ট অফিসের দায়িত্বরত পোষ্ট মাষ্টার রফিকুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ‘স্থায়ী জমি ও ভবন না থাকায় পোষ্ট অফিসটি ভাড়ায় চালাতে হচ্ছে। তবে স্থায়ী জায়গা জমি কিংবা কোন ভবন হবে কিনা তা আমার জানা নেই।এবিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন।,
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :