রোদ না থাকলেও ভ্যাপসা গরমে হ্যাঁসফ্যাঁস অবস্থা। এমন পরিস্থিতে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তবু্ও প্রকৃতির বৈরীতা ভেঙে হামাগুড়ি দিয়ে ভোট দিতে এসেছেন প্রতিবন্ধী সোহেল রানা (৩০)। এভাবে ভোট দিতে আসায় সোহেলকে আরো উৎসাহ দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
শারীরিক প্রতিবন্ধী সোহেল রানা পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারেন না। তিনি গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের আগ পুরুলিয়া বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার। শত বাধা পেরিয়ে বুধবার দুপুরে সোহেল এসেছিলেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে। তিনি শ্যামপুর গ্রামের মুনছের আলীর ছেলে।
প্রতিবন্ধী সোহেল রানা বলেন, ভোট মানে তার কাছে একটা দায়িত্ব। তাই তিনি ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মতে সব নাগরিকের উচিত ভোট উৎসবে অংশ নিয়ে যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করা।
আগ পুরুলিয়া কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মিলন রহমান ইত্তেফাককে বলেন, তার কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৮শ। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ১০ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে। প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও দুই হাত এবং হাঁটুতে ভর করে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন সোহেল রানা। তারমতে, সোহেল রানাকে দেখে অন্য ভোটাররাও ভোট দিতে উৎসাহী হবেন।
স্থানীয় জামান উদ্দিন বলেন, প্রতিবন্ধী সোহেল তার প্রতিবেশি। নিজের দায়িত্বের প্রতি সচেষ্ট সোহেল রানা প্রতিটি ভোটেই হামাগুড়ি দিয়ে কেন্দ্রে এসে ভোট দেন। একটা হুইলচেয়ার হলে আরো ভালোভাবে চলাচল করতে পারবেন সোহেল। ভোট প্রয়োগ থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের অন্যসব কাজ ঠিকমতো করতে পারবেন সোহেল।
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব আলী বলেন, হাঁটুতে ভর করে সোহেলের ভোট দিতে আসার ব্যপারটি অবাক করার মতো। খোঁজ নিয়ে সোহেলকে সরকারি সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন তিনি। তাছাড়া প্রতিবন্ধী সোহেল রানাকে দেখে অন্য ভোটারদের কেন্দ্রে এসে সতস্ফুর্তভাবে ভোট দোওয়ায় আহবান তার।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :